ভারতের অন্তত ৩০০ ব্যাংকে সাইবার হামলা

ভারতের ৫০০ রূপির নোট। প্রতীকী ছবি: ডিডব্লিউ
ভারতের ৫০০ রূপির নোট। প্রতীকী ছবি: ডিডব্লিউ

গতকাল রাতে ভারতের বেশ কিছু ব্যাংক সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। তুলনামূলকভাবে ছোট ব্যাংকগুলো এই হামলার শিকার হয়েছে।

'র‍্যানসমওয়্যার' নামের এক ধরনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারতের অন্তত ৩০০ ব্যাংক এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই ব্যাংকগুলোতে সি এজ প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়। র‍্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে সি এজ প্রযুক্তির ওপর আক্রমণ চালিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। যার ফলে এসব ব্যাংকের সেবা দাওয়ার প্রক্রিয়া পুরোপুরি বিঘ্নিত হয়েছে।

রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এখনো এই হামলা নিয়ে কিছু না জানালেও, ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) বুধবার একটি বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে।

ভারতে বড় বড় শহরের বাইরে গ্রামে ও মফস্বলে অন্তত দেড় হাজার ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যাংক রয়েছে। এ ধরনের ব্যাংকগুলোকে সমবায় ও আঞ্চলিক ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অনেক বিশেষজ্ঞ এগুলোকে কৃষক-মজুরদের ব্যাংক বলেও চিহ্নিত করেন। গ্রামগুলোতে সাধারণত এ ধরনের ব্যাংকেই টাকা রাখেন কৃষক-মজুরেরা। সরকার তাদের যে টাকা দেয়, তাও এই ব্যাংকগুলোতেই জমা হয়।

বুধবার রাতের সাইবার আক্রমণে এই ব্যাংকগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে সফটওয়্যার এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দিয়ে মূলত খুচরো টাকার লেনদেন করা হতো।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাইবার হামলা হয়েছে, এটা বোঝার পর ঐ ব্যাংকগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে সি এজ প্রযুক্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে আপাতত এই ব্যাংকগুলোতে আর্থিক লেনদেন বন্ধ রয়েছে।

ভারতীয় ব্যাংকগুলোতে যে সাইবার হামলা হতে পারে, তা অনেকদিন ধরেই আশঙ্কা করছিল সাইবার ক্রাইম দপ্তর। বড়-ছোট সমস্ত ব্যাংককেই এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। বুধবারের ঘটনার পর বড় ব্যাংকগুলোকে নতুন করে সতর্ক করা হয়েছে।

তবে কারা এবং কেন এই হামলা চালাল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ ঘটনায় বিদেশি কোনো শক্তির হাত আছে কি না, তাও স্পষ্ট নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Two loud explosions heard in Iran capital: AFP

Israel says conducted 'extensive strikes' in Iran's west, while explosions near Tel Aviv, sirens blare across Israel; smoke rises after explosion in Iran’s Tabriz

8h ago