করোনায় আক্রান্ত বাইডেন, বাতিল করলেন নির্বাচনী প্রচারণা

 হোয়াইট হাউসে বক্তব্য রাখছেন মাস্ক পরিহিত জো বাইডেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স (২০২১)
হোয়াইট হাউসে বক্তব্য রাখছেন মাস্ক পরিহিত জো বাইডেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স (২০২১)

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, সুস্থ না থাকলে তিনি নিজেই দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াতেন। এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। 

গতকাল বুধবার নেভাদা অঙ্গরাজ্যে জনসভা ও নির্বাচনী প্রচারের কাজে গেছিলেন বাইডেন। সেখানে যাওয়ার পর তার করোনা শনাক্ত হয়। 

ফলে সভা বাতিল করে ফিরতি বিমানে উঠে পড়তে হয় তাকে।

উড়োজাহাজে ওঠার সময় অবশ্য তার মুখে মাস্ক ছিল না। সাংবাদিকদের উদ্দেশে 'থাম্বস আপ' দেখিয়ে উড়োজাহাজে ওঠেন তিনি।

জানা গেছে, উড়োজাহাজে ওঠার পর মাস্ক পরেছেন বাইডেন।

বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও কনর জানিয়েছেন, প্যাক্সলোভিড অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ দেওয়া হয়েছে বাইডেনকে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। প্রেসিডেন্ট দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

অসুস্থতা এবং রাজনৈতিক লড়াই

করোনায় আক্রান্ত হলেও মাস্ক না পরেই উড়োজাহাজে ওঠেন বাইডেন। ছবি: রয়টার্স
করোনায় আক্রান্ত হলেও মাস্ক না পরেই উড়োজাহাজে ওঠেন বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার বিশিষ্ট ডেমোক্র্যাট সদস্য এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধি অ্যাডাম শিফ প্রকাশ্যে বলেছেন, এখনো সময় আছে, বাইডেনের উচিত নির্বাচনের ব্যাটন অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়া। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন, এমন কারও কাছে এই দায়িত্ব তুলে দেওয়া। বাইডেন শারীরিকভাবে সুস্থ নন বলে দাবি করেছেন এই ডেমোক্র্যাট সদস্য।

এর আগেও একাধিক ডেমোক্র্যাট সদস্য বাইডেনের সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেছেন। অন্যদিকে ট্রাম্প এবং অন্যান্য রিপাবলিকান নেতারা প্রায় প্রতিদিনই বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ট্রাম্প বিভিন্ন সভায় বাইডেনকে অনুকরণ করে দেখাচ্ছেন।

এই পরিস্থিতিতে বিইটির এক সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিতে যেয়ে বাইডেন বলেছেন, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলে, নিজেই ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতেন। বাইডেনের কথায়, 'চিকিৎসক এসে যদি বলতেন আমি শারীরিকভাবে সক্ষম নই, সঙ্গে সঙ্গে মেনে নিতাম।'

সিএনএন চ্যানেলে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেন বাইডেন। সেখানে তার অবস্থা দেখে অনেকেই বলতে শুরু করেন, প্রেসিডেন্ট শারীরিকভাবে সুস্থ নন।

Comments