ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে শিশু-নারীসহ অন্তত ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

নৌকাটিতে শিশু ও নারীসহ নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশের নাগরিক ছিলেন। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জনকে উদ্ধার করে তাদেরকে লিবিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু
লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগর থেকে একদল অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করছেন ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

লিবিয়ার উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে শিশু-নারীসহ অন্তত ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়—আজ রোববার স্থানীয় সময় ভোরে এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে আইওএম'র লিবিয়া কার্যালয় জানিয়েছে, নৌকাটিতে ৮৫ জনের মতো অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন।

সংস্থাটির এক বার্তায় আরও বলা হয়, লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূল জুয়ারা থেকে ছেড়ে যাওয়া নৌকাটি উঁচু ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যাওয়ায় 'বহু অভিবাসনপ্রত্যাশীর' মৃত্যু হয়েছে।

নৌকাটিতে শিশু ও নারীসহ নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশের নাগরিক ছিলেন। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জনকে উদ্ধার করে তাদেরকে লিবিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

আইওএম'র চিকিৎসক দল উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিচ্ছে। বেঁচে যাওয়াদের শারীরিক অবস্থা ভালো বলেও সংস্থাটির বার্তায় বলা হয়েছে।

আইওএম'র মুখপাত্র ফ্লাভিও দি গিয়াকোমো সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ জানান, চলতি বছর এ ভূমধ্যসাগরেই একের পর এক দুর্ঘটনায় দুই হাজার ২৫০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।

গত ১৪ জুন লিবিয়া থেকে মাছ ধরার নৌকা 'আদ্রিয়ানা'য় ৭৫০ জনের মতো অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে যাওয়া চেষ্টা করলে নৌকাটি গ্রিসের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের কাছে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১০৪ জনকে জীবিত ও ৮২ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়।

নৌকার যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন সিরিয়া, পাকিস্তান ও মিশরের নাগরিক।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হিসাবে, এ বছর তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে এক লাখ ৫৩ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালি গিয়েছেন।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির ভেতর দিয়ে ইউরোপে যেতে সাধারণত লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার উপকূল ব্যবহার করে থাকেন।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago