রাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য ফাঁস মামলায় অভিযুক্ত ইমরান খান
রাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য ফাঁস মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে অভিযুক্ত করেছে দেশটির একটি আদালত।
আজ সোমবার পাকিস্তানের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গঠিত বিশেষ আদালতে শুনানির পর বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন দুজনকে অভিযুক্ত করেন।
দেশটির গণমাধ্যম ডন জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে থাকা একটি কূটনৈতিক নথি হারিয়ে গেছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইমরানের দল তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) অভিযোগ, ওই নথিতে ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ছিল।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। দেশটির হাইকোর্ট অবশ্য ২৯ আগস্ট সাজা স্থগিত করেন। কিন্তু তথ্য ফাঁস (সাইফার) মামলায় তিনি জুডিশিয়াল কাস্টডিতে ছিলেন।
তথ্য ফাঁস মামলায় ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটির ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত উল্লেখ করে বিশেষ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
চার্জশিটে বলা হয়, ইমরান কূটনৈতিক বার্তা 'অবৈধভাবে আটকে রেখেছেন এবং ভুল ব্যবহার করেছেন।' ওই বার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কের রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ছিল।
এতে আরও বলা হয়, ইমরান খান ওই নথিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত দেননি। ইমরানকে এতে সহায়তা করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি এবং এ কারণে তিনিও এ কাজের জন্য দায়ী।
আজ রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার শুনানি শুরু হয় এবং ২৭ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
ইমরানের আইনজীবী জানান, বিশেষ আদালতের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
Comments