ফিলিস্তিনের সমর্থনে পোস্ট দেওয়ায় সুপারমডেল জিজি হাদিদকে সপরিবারে হত্যার হুমকি
চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রথম থেকেই ২৮ বছর বয়সী সুপারমডেল জিজি হাদিদ সক্রিয়ভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করায় ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জিজি হাদিদ ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ইমেইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ফোনকলে তারা হত্যার হুমকি পেয়েছেন।
মার্কিন ট্যাবলয়েড টিএমজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুমকি পেয়ে জিজি, বোন বেলা হাদিদ (২৭), ভাই আনোয়ার হাদিদ (২৪), এবং বাবা-মা ইয়োলান্ডা ও মোহাম্মদ তাদের ফোন নম্বর পরিবর্তন করেছেন।
এ বিষয়ে হাদিদ পরিবারের পক্ষ থেকে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জিজি হাদিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের পাশাপাশি এটাও বলেছেন যে, তিনি কোনো গোষ্ঠী বিশেষ করে ইহুদিদের ক্ষতির ইচ্ছা পোষণ করেন না।
তিনি বলেছেন, 'যদিও ফিলিস্তিনিদের জন্য আমার আশা ও স্বপ্ন আছে। কিন্তু কোনো ইহুদির ক্ষতি চাই না।'
'নিরপরাধ মানুষকে আতঙ্কিত করা..."ফিলিস্তিন মুক্তির" আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করবে না। বরং কয়েক দশক ধরে চলে আসা দীর্ঘ, বেদনাদায়ক প্রতিশোধের চক্রকে প্ররোচিত করেছে... এবং এই ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে ফিলিস্তিনপন্থী মানেই ইহুদি-বিরোধী,' জিজি লিখেছেন।
তিনি আরও লিখেছেন, 'ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলি সরকারের আচরণে ইহুদিবাদীতার কিছু নেই। ইসরায়েলের নেতৃত্বের নিন্দা করা ইহুদিবিরোধীতা নয় এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করা হামাসকে সমর্থন করা নয়।'
তার পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'হামাসের ইসরায়েলিদের হত্যা করা সাহসী কিছু নয়। হামাসের নিন্দা করা ফিলিস্তিন বিরোধিতা নয় এবং ইসরায়েলিদের নৃশংস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে সাহায্য করা একটি নৈতিক দায়িত্ব।
'স্টেট অফ ইসরায়েল' অ্যাকাউন্ট থেকে তার পোস্টে ট্যাগ করে লিখেছে, 'আপনি কি গত সপ্তাহে ঘুমিয়ে ছিলেন?'
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিতে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস। এ হামলায় নিহত হাজারের বেশি। হামাসের দাবি, তারা শতাধিক লোককে অপহরণ করে জিম্মি করেছে।
এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে গাজায় স্থল হামলার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল সেনাবাহিনী। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
Comments