বিদ্রোহে অংশ না নেওয়া ভাগনার যোদ্ধারা রুশ বাহিনীতে যোগ দিতে পারেন: ক্রেমলিন

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনার দল ভাগনারের কিছু সেনা রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত সশস্ত্র বিদ্রোহে অংশ নেয়নি। তারা চাইলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

আজ রোববার রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম তাস এ তথ্য জানিয়েছে।

পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা একমত হয়েছি, ভাগনার সেনারা তাদের নিজ ঘাঁটিতে ফিরে যাবেন। তবে দলটির কিছু সদস্য চাইলে পরবর্তীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন। এটি সেসব যোদ্ধার জন্য প্রযোজ্য, যারা "সশস্ত্র বিদ্রোহে" অংশ নেননি।'

পেসকভ আরও বলেন, 'ভাগনারের কিছু যোদ্ধা সশস্ত্র বিদ্রোহের শুরুতেই তাদের মত পরিবর্তন করেন এবং নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসেন।'

'তারা নিজ ঘাঁটিতে বা যেখান থেকে তাদেরকে মোতায়েন করা হয়েছে, সেখানে ফিরে যাওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশের সহায়তাও চেয়েছেন', যোগ করেন পেসকভ।

২৩ জুন সন্ধ্যায় ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বেশ কিছু অডিও রেকর্ড ও বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, তার সংগঠনের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়েছে। তিনি দেশের সামরিক নেতৃত্বকে এর জন্য দায়ী করেন এবং বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

সশস্ত্র বিদ্রোহের ডাক দেওয়ার জন্য সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) সংস্থা প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। এফএসবি ভাগনারের যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানায় প্রিগোঝিনের নির্দেশ না মেনে তাকে আটক করার চেষ্টা চালাতে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রিগোঝিনের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে।

গতকাল রুশ বার্তা সংস্থা আরটি ক্রেমলিন সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ভাগনার প্রধান প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি মামলা তুলে নেওয়ার পাশাপাশি তাকে রাশিয়া ছাড়তে বলা হয়েছে।

পেসকভ জানান, সেন্ট পিটার্সবার্গের ধনকুবের প্রিগোঝিন 'বেলারুশে যাবেন'।

তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে অবদানের কথা বিবেচনায় রেখে ভাগনার গ্রুপের সেনাদের বিচার করা হচ্ছে না।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago