প্রচণ্ড গরমে রোগী বাড়ছে বরিশালের হাসপাতালগুলোতে

গরমে অসুস্থ সুনীল বিশ্বাসকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল থেকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। ছবি: টিটু দাস/ স্টার

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বরিশাল বিভাগের অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন গরমজনিত নানা রোগে। গরমে অনেকেই ডায়রিয়া, হাঁপানি, জ্বরে ভুগছেন। হাসপাতালগুলোর আউটডোরে এসব রোগে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে।

আজ শুক্রবার বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরে গিয়ে দেখা যায়, আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে শ্বশুর সুনীল বিশ্বাসকে (৭০) নিয়ে এসেছেন জামাতা মৃণাল কান্তি হাজারা।

তিনি জানালেন, প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে সুনীল বিশ্বাসকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যান তারা। পরে অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, 'বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৩ গুণ বেশি রোগী আউটডোরে গরমজনিত কারণে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে গরমজনিত ডায়রিয়া, জ্বর, স্ট্রোকের রোগী আছে।'

গরমজনিত অসুস্থতার কারণে অন্তত ৫০ জন রোগী প্রতিদিন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খান জানান, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় গত ৬ মাসে ৩৬ হাজার ৫৩৯ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ৭ দিনে গরমজনিত কারণে ২ হাজার ২৪০ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৬২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে জানান বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পাপিয়া জেসমিন।

নগরীর কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা ও অভিভাবক প্রবীর কুণ্ডু জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে বাড়িতে ছেলেমেয়েরা জ্বরসহ নানা অসুস্থতায় ভুগছে।

আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানায়, বরিশালে বর্তমানে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৬-৩৭ ডিগ্রি চলছে। এটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে গরমের কারণে বরিশাল নগরীতে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। দুপুরের রোদে কম সংখ্যক রিকশা নগরীতে চলাচল করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা তানজিম মাহমুদ বলেন, 'প্রচণ্ড গরম তো আছেই। পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে দিনে ও রাতে লোডশেডিংয়ের কারণে।'

Comments

The Daily Star  | English

Record toll collection on Padma and Jamuna bridges

Padma Bridge generated a record toll revenue of Tk 54.32 crore, while Jamuna Tk 41.81 crore

1h ago