গণস্বাস্থ্যে ৭ বছরের শিশুর পেট থেকে ২ কেজির বিরল টিউমার অপসারণ

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ৭ বছরের এক শিশুর পেট থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ২ কেজির বিরল টিউমার অপসারণ করেছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল কর্তপক্ষ বলছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই টিউমারটির নাম মেসেন্টোরিক সিস্ট, যা পেটের বিরল টিউমারগুলোর একটি। অস্ত্রোপচারের পর ইমরান হোসেন নামের ওই শিশুটি এখন শঙ্কামুক্ত আছে।

এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৫ মে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. মো. আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচার করেন।

ডা. আকরাম হোসেন বলেন, 'টিউমারটি যেভাবে বেড়ে যাচ্ছিল, তাতে দ্রুত অস্ত্রোপচার না করলে শিশুটির জীবন বিপন্ন হতে পারত। এ ধরনের টিউমারের পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।'

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিশুটির বাবা আমির হোসেন একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক, মা রুমা আক্তার গৃহিনী। তারা ভোলার তজিমুদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা। ইমরান তাদের তৃতীয় সন্তান। ১ বছর আগে তার পেটে টিউমারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ অবস্থায় অস্ত্রোপচারের জন্য প্রথমে ইমরানকে মুগদা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে শিশু হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু ২৭ দিন শিশু হাসপাতালে অপেক্ষা করেও তারা অস্ত্রোপচারের তারিখ পাননি।

এ অবস্থায় ২৫ মে ইমরানকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ডা. আকরাম হোসেনের অধীনে ভর্তি করা হয়। ২৫ মে ২ ঘণ্টা ধরে তার অস্ত্রোপচার চলে।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশের অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের খরচ ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা। তবে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এ জন্য শিশুটির পরিবারের খরচ হয়েছে মাত্র ২৮ হাজার টাকা।

এর আগে গত ৬ আগস্ট ডা. আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে আবুল কালাম (৬০) নামে আরেক ব্যক্তির পেট থেকে ১৮ কেজি ওজনের আরেকটি টিউমার অপসারণ করা হয়। তিনি এখন সুস্থ থেকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন বলে জানানো হয় গনস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

5h ago