ঢাকায় বর্জ্য অপসারণে মাঠে নেমেছেন ২ সিটির ১৯ হাজার কর্মী
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে কাজ শুরু করেছেন ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনের প্রায় ১৯ হাজার কর্মী।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঘোষণা অনুসারে, তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করতে চায়। এক্ষেত্রে উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ঘোষিত সময়সীমা ৮ ঘণ্টা।
ঈদের দিন সকাল থেকে ঢাকায় টানা বৃষ্টির মধ্যে বর্জ্য অপসারণের কাজে বেশ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যেও ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য ২ সিটির কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে পশু কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন শহরের বাসিন্দারা। দুপুর ১টার পর ২ মেয়র বর্জ্য অপসারণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, 'বর্জ্য অপসারণে আমরা সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। ইনশাল্লাহ, আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সফলভাবে সব বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমরা কত দ্রুততার সঙ্গে বর্জ্য অপসারণের কাজ করতে পারব, তা নির্ভর করবে এখানকার বাসিন্দাদের ওপর। বর্জ্য যত্রতত্রভাবে ছড়িয়ে রাখা যাবে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করব সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় কোরবানির বর্জ্য ফেলতে।'
জানা গেছে, বর্জ্য অপসারণের কাজে ডিএসসিসি ১০টি পে-লোডার, ৪টি ব্যাকহো-লোডার, ৯টি স্কিড লোডার, ৭টি টায়ার ডোজার, ৩টি চেইন ডোজার, ৯৬টি ডাম্প ট্রাক, ৫৩টি কম্প্যাক্টর ও ৯টি ওয়াটার ট্যাঙ্কারসহ ৩৫৭টি বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করছে।
ডিএনসিসি এলাকায় বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে ৬টি এক্সকেভেটর, ৪টি চেইন ডোজার, ২টি টায়ার ডোজার ও ১টি পে-লোডার।
এছাড়া বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ২ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসির প্রায় ৯ হাজার এবং ডিএনসিসির ১০ হাজার কর্মী সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত আছেন।
এ ছাড়া কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সহায়তার জন্য ২ সিটিতেই খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
Comments