ডায়াবেটিস রোগী দ্রুত হাঁটলে যে উপকার পাবেন

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সহজ ও কার্যকর একটি ব্যায়াম হচ্ছে , হাঁটা। নিয়মিত যেকোনো সময় হাঁটা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে, এ বিষয়টি আমরা জানি। তবে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, দ্রুত হাঁটা স্বাভাবিক গতিতে হাঁটার চেয়ে বেশি উপকার করতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সহজ ও কার্যকর একটি ব্যায়াম হচ্ছে , হাঁটা। নিয়মিত যেকোনো সময় হাঁটা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে, এ বিষয়টি আমরা জানি। তবে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, দ্রুত হাঁটা স্বাভাবিক গতিতে হাঁটার চেয়ে বেশি উপকার করতে পারে।

দ্রুত হাঁটা

স্বাভাবিক সময়ে আমরা যে গতিতে হাঁটি তারচেয়ে বেশি গতিতে বা হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে তোলে এমন গতিতে হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছে নতুন এই গবেষণা। আপনি দ্রুত গতিতে হাঁটছেন কি না, তা নির্ধারণ করার একটি ভালো উপায় হলো প্রতি মিনিটে ১০০ কদম গণনা করা এবং হাঁটার সময় কথা বলতে পারলেও গান গাইতে পারবেন না—বিষয়টি পরীক্ষা করা।

দ্রুত হাঁটার জন্য কিছু নির্দেশিকা

ওয়ার্ম আপ: ধীরে ধীরে আপনার হৃৎস্পন্দন বাড়াতে এবং ব্যায়ামের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করতে ৫ থেকে ১০ মিনিট ওয়ার্ম-আপ করে নিন।

হাত নাড়ান: হাঁটার গতি বাড়াতে এবং আরও বেশি শক্তি ব্যবহার করতে ২ হাত স্বাভাবিকভাবে নাড়ান।

শারীরিক ভঙ্গি: হাঁটার সময় মাথা উঁচু রাখুন, কাঁধ শিথিল রাখুন এবং সোজা হয়ে হাঁটুন।

সময় নির্দিষ্ট করুন: হাঁটার জন্য প্রতিদিন একটি সময় নির্দিষ্ট করে নিতে পারেন। এতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সহজ হবে।

অগ্রগতি দেখুন: সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনে ৩০ মিনিট বা তার বেশি হাঁটার জন্য মনস্থির করুন। ধীরে ধীরে এই সময় ও হাঁটার গতি বাড়ান। এতে হঠাৎ আপনার শরীরের ওপর বেশি চাপ পড়বে না।

উপকারিতা

১. দ্রুত হাঁটলে হৃৎস্পন্দন ও রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে।

২. দ্রুত হাঁটলে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়, যা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৩. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমায়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

লক্ষ্যনীয় যে, হাঁটার গতি নির্ধারণ করতে হবে শারীরিক অবস্থা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ফিটনেস প্ল্যান তৈরি করতে পারেন।

ডা. নূর-এ-সাফরিনা রহমান, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

safrinarahman16@gmail.com

 

Comments