সক্ষমতার ওপর হাসপাতালের সেবা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেবা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আমরা স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের চেষ্টা করছি। জনবল-অবকাঠামোর প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা আমরা যদি আমরা ভালো করি তাহলে স্বাস্থ্য সেবা আরও উন্নত হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দিয়ে থাকি। একটি বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি, যত্রতত্র প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। যা যা দেওয়া দরকার সেটা আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্কুল হেলথের ওপর জোর দিচ্ছি, যাতে ছেলে-মেয়েরা স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে, খাদ্য সম্পর্কে জানে। মাদক থেকে যাতে দূরে থাকে সেটা তাদের জানানো হচ্ছে। গ্রাম্য অনেক ডাক্তার আছেন, তাদের কোনো সার্টিফিকেট নেই। তারা অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেন। অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে নিবন্ধিত না। তাদের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। এ রকম ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে এবং আগামীতে আমরা আরও বন্ধ করবো। গ্রামে যারা চিকিৎসা দেন, যাদের সার্টিফিকেট নেই, তাদের আমরা চিকিৎসা দিতে দেবো না।

প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে যে খণ্ড খণ্ড চিকিৎসা দেয়, আমরা সেটাকে একত্রিত করার চিন্তা করছি। চিকিৎসাটা যাতে ভালোভাবে দেওয়া যায় এবং প্রিভেন্টিভ মেজার যেটা, সেদিকে আমরা জোর দেবো। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাও শেখাবো। স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েদের জন্য আমরা একটি প্রাইমারি হেলথ কেয়ার গাইড তৈরি করেছি। সেই প্রাইমারি গাইডটি পড়ে তারা বুঝতে পারবে কীভাবে তাদের নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে, বলেন জাহিদ মালেক।

সেবার মান উন্নয়নে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ক্যাটাগরি করে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো হাসপাতাল এ, বি নাকি সি ক্যাটারি হবে নির্ভর করবে তাদের ব্যবস্থাপনার ওপর। হাসপাতালের শয্য, যন্ত্রপাতির ওপর ভিত্তি করে আমরা ক্যাটাগরি নির্ধারণ করবো। যে প্রতিষ্ঠান যে সেবা দেওয়ার উপযোগী তারা শুধু সেই সেবাই দেবে, অন্য কোনো স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার চেষ্টায় আছি আমরা। একই পরীক্ষা দুটি ভিন্ন হাসপাতালে ভিন্ন ফি নেয়, এই বিষয়টি দূর করতে চাচ্ছি আমরা। যাতে জনগণ প্রতারিত না হয়, সঠিক চিকিৎসা পায় এবং বাড়তি মূল্য যাতে না দিতে হয়। অল্প সময়ের মধ্যে এটি আমরা করতে পারবো। ফি নির্ধারণের বিষয়ে ইতোমধ্যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আমরা এটাও চেষ্টা করছি, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়া কমে যাবে। এখনো অনেক লোক বিদেশে চিকিৎসা নেয়। কয়েক বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যায় শুধু চিকিৎসা নিতে।

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Election in first half of ’26 is not unreasonable, but Dec ’25 is doable

Whatever the differing stances of various political parties may be, people in general would prefer to exercise their franchise.

11h ago