দাম কমেছে মুরগির

স্টার ফাইল ফটো

দেশে খুচরা পর্যায়ে মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। চারটি বড় পোল্ট্রি কোম্পানি খামার থেকে মুরগির দাম কমানোর পর খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

কাজী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড এবং প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড নামের চারটি কোম্পানি প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছে ১৯২ টাকায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শনিবার ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যেখানে সোনালি মুরগির দাম ছিল কেজিতে প্রায় ৩৩০ টাকা।

মাত্র এক সপ্তাহ আগেও একই বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম ছিল যথাক্রমে ৩০০ টাকা ও ৩৮০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন সুজন বলেন, কাপ্তান বাজারের পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বর্তমানে প্রায় ১৯০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল ২৩০ টাকা। এ কারণেই খুচরা বাজারে দাম কমেছে।

একইভাবে সোনালি মুরগির পাইকারি দাম ৩৫০ টাকা থেকে ৩২০ টাকায় নেমে এসেছে।

কারওয়ান বাজারের ক্রেতা গোলাম রব্বানী বলেন, দাম কমলে তার মতো সাধারণ ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি মিলবে।

তিনি বলেন, 'দাম কমায় আজ আমি ৩ কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। দাম একই থাকলে ১ কেজির বেশি কিনতাম না।'

একইভাবে ঢাকার মিরপুরের দুয়ারীপাড়া কাঁচা বাজারের ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে প্রতি কেজি ২৩০ টাকা ও ৩৪০ টাকায়।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) সঙ্গে আলোচনার পর চারটি বড় কোম্পানি কম দামে মুরগি বিক্রির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

এরপর থেকে ঢাকা ও এর বাইরে দাম কমতে শুরু করেছে।

মুন্সীগঞ্জ শহরের বড় বাজার এলাকার খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, শুক্রবার থেকে সেখানে মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের খুচরা বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল তিনি প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি করলেও দাম আরও কমবে বলে আশা করছেন।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, চারটি কোম্পানি সরাসরি তাদের খামার থেকে কম দামে মুরগি বিক্রি করায় বাজারে মুরগির দাম কমেছে।

গবেষণার মাধ্যমে প্রকৃত উৎপাদন খরচ বের করতে পারলে দাম আরও কমে যেত বলে মনে করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Insights from her inner circle

Several senior officials gave crucial information to the UN Fact Finding Mission about Sheikh Hasina’s actions during the July uprising.

8h ago