কারওয়ান বাজারে সবজির দাম: পাইকারি ও খুচরায় পার্থক্য প্রায় দ্বিগুণ
কারওয়ান বাজারে পাইকারি বাজারে থেকে ১২ মিটার দূরত্বে খুচরা সবজির বাজার। এই দূরত্বে পরিবহন খরচ নেই বললেই চলে। তবে এই ১২ মিটার দূরত্বে গিয়েই সবজির দাম কেজিতে বেড়ে যায় ১০ থেকে ২০ টাকা।
এই ২ বাজারের তফাৎ শুধু একটাই। তাহলো, পাইকারি বাজার থেকে সর্বনিম্ন ৫ কেজি পণ্য কিনতে হবে। অন্যদিকে খুচরা বাজারে নিজের চাহিদা মতো কেনা যায়।
কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে প্রতি ৫ কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায়। সেই হিসেবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ২৪-৩০ টাকা। পাশেই খুচরা বাজারে এই গাজর বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁপের দাম ১২-১৬ টাকা। খুচরা বাজারে একই পেঁপের দাম ২০-৩০ টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজির বেগুনের দাম ১৬-১৮ টাকা। অথচ খুচরা বাজারে একই বেগুনের দাম ৩০-৪০ টাকা।
প্রতি কেজি বরবটির দাম পাইকারি বাজারে ৫০ টাকা। আর খুচরা বাজারে এই বরবটির দাম ৬০ টাকা। শিম পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা খুচরা বাজারে ৪০ টাকা। পটল ও ঢেঁড়স পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে অন্তত ৫ টাকা বেশি। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৫০-৬০ টাকা এবং খুচরা বাজারে তা ৬০-৮০ টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পুরাতন আলুর দাম ১৪ টাকা কিন্তু খুচরা বাজারে তা ২০ টাকা।
এইটুকু দূরত্বে সবজির দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. রনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ২-৩ জন লোক কাজ করি। আমাদের মূলধন খাটাতে হয়। তাই এটুকু মুনাফা করতেই হয়। তাছাড়া দোকানভাড়াসহ বিভিন্ন খরচতো আছেই।'
তিনি বলেন, 'অনেকে কেজিতে ২০ টাকাও বেশি নেন। এটা আসলে ঠিক না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সবার অবস্থা নাকাল। সবার সীমিত লাভ রেখে বিক্রি করা উচিত।'
আরেক খুচরা সবজি বিক্রেতা সায়েম বলেন, 'বাইর থেকে যতটা লাভ দেখা যায়, আসলে ততটা লাভ হয় না। দোকানভাড়া আছে, অদৃশ কিছু খরচ আছে। সব জিনিসের দাম বেশি। যেটুকু আয় হয় তা দিয়ে আমাদেরও চলতে হিমশিম খেতে হয়। আমার দোকানে সবসময় ২ জন কর্মচারী থাকেন, তাদের বেতন দিয়ে মাস শেষে চলাটাই মুশকিল হয়ে যায়।'
পাইকারি সবজি বিক্রেতা আবুল কালাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সবজির বাজার প্রতিনিয়তই উঠা-নামা করে। বিভিন্ন কারণে স্থানভেদে সবজির দামের তারতম্য দেখা যায়। তাছাড়া পরিবহন খরচ বেড়েছে। তাই খেত থেকে সবজি ক্রেতার হাতে পৌঁছাতে দাম অনেক বেড়ে যায়।'
Comments