আলুর কেজি পাইকারিতে ৩৫, খুচরায় ৬০-৭০ টাকা
সরকার নির্ধারিত প্রতিকেজি আলুর মূল্য ৩৫ টাকা ৩৪ পয়সা। কিন্তু গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলার বাজাতে প্রতিকেজি আলুর পাইকারি মূল্য ৩৫ টাকা হলেও, খুচরা মূল্য কেজিতে ৬০-৭০ টাকা।
আজ বুধবার সকালে সরেজমিনে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি আলু খুচরা ক্রেতাদের কাছে ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি জাতের লাল আলু প্রতিকেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে, হালকা লাল ডায়মন্ড কিছু নষ্ট-দাগ পড়া আলু ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বরমী গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ মিয়া বাজার থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি আলু কিনেছেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই কেজি আলু কিনতে ১২০ টাকা লেগেছে। আমার আর কিছু কেনার ইচ্ছে হয়নি। এক সপ্তাহ আগেও কেজি ৪৫ টাকা আলু কিনেছি।'
'কী করে বাঁচব জানি না। জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে,' বলেন তিনি।
জয়দেবপুরের এক কাঁচামালের আড়তের ম্যানেজার মো. আনিস মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ প্রতিকেজি আলু ৩৫-৩৭ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে।'
খুচরা দাম কেন দ্বিগুণ, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গাজীপুরের বিভিন্ন বাজারে কী কারণে দ্বিগুণ দামে খুচরা বিক্রেতারা আলু বিক্রি করছে জানি না।'
গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকার গার্মেন্টসকর্মী শিরিন আক্তার ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি বেশিরভাগ সময় আলুর তরকারি রান্না করেন।
তিনি বলেন, 'বাসা ভাড়া, থাকা খাওয়া নিয়ে কোনোরকমে বেঁচে আছি। অল্প বেতনে কোনোভাবেই চলতে পারি না। পাশের দোকান থেকে আলু কিনে আনছি ৬০ টাকা কেজি দরে। এমন অবস্থা যে ডিম-আলুও খেতে পারব না। গরীব মানুষের বেঁচে থাকাই কষ্ট।'
কাপাসিয়ার বাজারের একাধিক খুচরা আলু বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে জানান, প্রতিকেজি আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা ছাড়া তাদের আর উপায় নাই।
আলুর পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।
কালিয়াকৈরের সফিপুর বাজার সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান জয় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকার নির্ধারিত মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করতে হবে। এটা আমি দোকানদারদের বলেছি। লাভ কম করো, মানুষ বাঁচাও।'
যোগাযোগ করা হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাজীপুর জেলার উপপরিচালক মো. দিদার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কেউ আলু বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের অভিযান চলমান।
তিনি বলেন, 'আমি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা বাজার মনিটরিংয়ে কাজ করছি।'
Comments