কারওয়ান বাজারে ৫৮ টাকা কেজির নিচে চাল নেই

পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে অপরিবর্তিত আছে। আজ শনিবার কারওয়ান বাজার ও এর আশেপাশের এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

আজ কারওয়ান বাজারে পাইকারি দোকানে প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা, মিনিকেট ৬৮ টাকা, নাজিরশাইল ৭৪ টাকা ও চিনিগুড়া ১১০ টাকায়।

পাইকারি দোকানের সামনের খুচরা দোকানেই আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা, মিনিকেট ৭০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা ও চিনিগুড়া চাল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।

পাইকারি আর খুচরা দোকানের পার্থক্য হলো পাইকারি দোকানে ১ বস্তা নিতে হবে, আর খুচরা দোকানে কেজি হিসেবে চাল কেনা যাবে।

পাইকারি চাল বিক্রেতা কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রিয় রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. লোকমান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শুধু আটাশ চাল নতুন দামে কিনতে পেরেছি, তাই এটি ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য চালগুলো এখনো নতুন দামে কিনতে পারিনি। তাই আগের দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে নতুন দামে চাল কেনার পর কারো আর আগের দামে বিক্রি করার সুযোগ নেই।'

পাইকারি চাল বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, 'চালের দাম প্রতি বস্তায় ৫০ টাকা করে কমেছে। সেই হিসাবে কেজিতে কমেছে ১ থেকে ২ টাকা। তবে সেই চাল এখনো কারওয়ান বাজারে আসেনি। দোকানিরা তাই আগের দামে বিক্রি করছে।'

চালের দাম কমানোর কারণ হিসেবে মিল মালিকদের ওপর সরকারে চাপ ও ভ্যাট কমানোকেই দেখছেন তিনি।

এম আর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী খুচরা বিক্রেতা আনিস খান বলেন, 'শুধু নওগাঁর চালের দাম কমেছে। কুষ্টিয়াসহ অন্যান্য জেলার দাম অপরিবর্তিত আছে। আমাদের এখানে যে চাল আছে, তা ২-৩ দিন আগে কেনা। নতুন করে কম দামে চাল কিনলে আমরাও কম দামে বিক্রি করব।'

নোয়াখালী রাইসের স্বত্বাধিকারী মো. শাওনও একই কথা বলেন। 'আমরা মূলত ২ থেকে ৩ দিন বিক্রি করতে পারব, সেই হিসাবে করে চাল কিনি। তবে শুনেছি চালের দাম কমেছে। নতুন করে যে চাল কিনব, কেজিতে ১-২ টাকা কমিয়ে তা বিক্রি করা হবে।'

আজ তেজতুরি বাজার এলাকায় আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭০ টাকা, নাজিরশাইল ৮৬ টাকায়।

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago