লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম

২০ দিন পর সকালে সূর্য, জনমনে স্বস্তি

২০ দিন পর সূর্য
সকালে সূর্য উঠায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর সাপ্টানা গ্রাম। ২৯ জানুয়ারি ২০২৪। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে এক এক করে টানা ২০ দিন সকালে সূর্যের দেখা মেলেনি।

অবশেষে আজ সোমবার সকালে সূর্যের দেখা পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

আজ সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুব আকাশে সূর্যের দেখা মেলে। চারদিক ভরে উঠে সোনালি আলোয়।

টানা তিন সপ্তাহের ঠান্ডা আর কুয়াশার পর সকালে সূর্যের আলো পেয়ে ফসলের খেতেও প্রাণচঞ্চলতা ফিরে এসেছে।

লোকজন ঘরের বাইরে এসে সূর্যের আলো উপভোগ করছেন—এমন দৃশ্যও দেখা গেছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সকালে সূর্য দেখা যায়নি। সেসময় মাঝেমধ্যে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। গত ৯ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। এখানে ২০ দিন পর আজ সকালে সূর্য দেখা গেল।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর সাপ্টানা গ্রামের চাতাল শ্রমিক কোরবান আলী (৬০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সূর্যের আলো না থাকায় ধান শুকাতে পারিনি। এতদিন কর্মহীন ছিলাম। আজ সকালে সূর্য উঠায় মনে স্বস্তি ফিরেছে। শ্রমিকরা চাতালে এসেছেন। ধান শুকাবেন। অনেকদিন পর সকালে সূর্য দেখে ভালো লাগছে। গত কয়েকদিনের ঠান্ডায় স্থবির হয়ে গিয়েছিলাম।'

একই এলাকার ধান ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম (৪৪) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে সূর্য দেখে ধান সিদ্ধ করছি। চাতালে ধান শুকাবো। গত তিন সপ্তাহ ধান শুকাতে পারিনি। চালও করতে পারিনি। শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। আমিও ব্যবসায় লোকসানে পড়ি।'

আদিতমমারী উপজেলার সাকোয়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম (৬৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে সূর্যের আলো পেয়ে খেতের ফসলগুলোও জেগে উঠেছে। গত কয়েকদিনের ঠান্ডা আর কুয়াশায় ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে। সকাল থেকে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা খেতে কাজ শুরু করেছেন।'

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট গ্রামের দিনমজুর সাবের আলী (৫৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে সূর্য দেখে গত কয়েকদিনের ঠান্ডার কষ্ট ভুলে যাচ্ছি। কাজের খোঁজে বাইরে বের হয়েছি। গত কয়েকদিন ঠান্ডার কারণে তেমন কাজ করতে পারিনি।'

লালমনিরহাট শহরে বিডিআর রোডের স্কুল শিক্ষক নুর ইসলাম (৫৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে সূর্যের আলো পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। গত কয়েকদিনে ঠান্ডার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিলাম।'

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আট দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে তেমন কুয়াশা ছিল না। সূর্যের আলো থাকায় ঠান্ডা তেমন অনুভূত হচ্ছে না।'

Comments

The Daily Star  | English
Mahdi Amin, adviser to BNP acting chairperson Tarique Rahman

‘BNP’s 31-point charter embodies public will’

Mahdi Amin, adviser to BNP acting chairperson Tarique Rahman, speaks to The Daily Star

11h ago