উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের ভেতরে এলে গতি বাড়বে ঝড়ের
উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের ভেতরে এলে ঘূর্ণিঝড় মোখার গতি বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি বর্তমানে ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে।
আজ শনিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরে উপপরিচালক মো. আসাদুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের এই কথা বলেন।
আসাদুর রহমান বলেন, 'চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকা এবং চরাঞ্চলে ঘূর্ণি ঝড়ের ক্ষতির প্রভাব থাকবে। মূল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়, যার ডায়ামিটার ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার। এর অধিকাংশ অংশ কক্সবাজার, উখিয়া ও সেন্ট মার্টিন আর বাকি অংশ মিয়ানমারের উত্তরাংশ (সিটওয়ে) পাবে।'
তিনি বলেন, 'ঝড়টি যখন তীরে চলে যাবে তখন ক্লাউড মাস্ক ছড়িয়ে সিলেট পর্যন্ত এর প্রভাব থাকবে। মোখা এখন ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এটি উপকূল থেকে গড়ে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে আছে, ৪০০ কিলোমিটারের ভেতরে এলে এর গতি বেড়ে যাবে। তখন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে এগোবে। বাতাসের গতিবেগ আমরা ধরে নিচ্ছি ১৬০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার হবে।'
ঝড়টি আরও গতি সঞ্চার করার সম্ভবনা রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আসাদুর রহমান বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব—ঝড়ো হাওয়া, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আজ রাত থেকেই শুরু হবে। কাল সকাল থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার পরিমাণ বাড়বে। পুরো ঝড় পার হতে সন্ধ্যায় পার হয়ে যাবে।'
'ঝড়ের কেন্দ্রে সাধারণত ১০ নম্বর সংকেত থাকে। বাম পাশে ৮ নম্বর ও ৯ নম্বর সংকেত থাকে। ডান পাশটা মিয়ানমার পড়ে গেছে। ওভার হেড কক্সবাজার। বাম পাশে চট্টগ্রাম আছে। আরও বামে পায়রা ও মোংলা বন্দর আছে। একটানা ৮ ঘণ্টা প্রবল বৃষ্টিপাত হলে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকে,' বলেন তিনি।
রাজধানী ঢাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা যে ঢাকায় নেই তেমন না, তবে তুলনামূলক কম থাকবে। বেশি আছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা এবং তার একটা বডি সিলেট অঞ্চলের দিকেও চলে আসতে পারে। ঝড়টি সিডরের মতোই শক্তিশালী হবে। যতক্ষণ সাগরে থাকবে ততক্ষণ শক্তি সঞ্চয় করতে থাকবে।'
Comments