সাড়ে ৭ লাখের মতো মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলার অংশ হিসেবে সাড়ে ৭ লাখের মতো মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে এবং গণমাধ্যমে এসেছে, আশ্রয়কেন্দ্রে যারা গেছে তারা অনেকেই সুপেয় পানি ও শৌচাগারের সমস্যার কারণে ফিরে এসেছেন, বিষয়টি আপনাদের নজরে এসেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কক্সবাজারের একটি কেন্দ্রের কথা বলেছে খাবারের পানি ছিল না। পরে আমি জেলা প্রশাসককে বলেছি, ওনারা মিনারেল ওয়াটার সরবরাহ করেছেন। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মিনারেল ওয়াটার খাওয়াব। যেটা আমরা সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যায় করেছিলাম। যার ফলে দুর্যোগ পরবর্তী ডায়রিয়াল ডিজিজগুলো হয় সেগুলো থেকে মুক্ত থাকা যায়।'
'অভিযোগ আমরাও পেয়েছি। সেটা সঠিক এবং সেটার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। হাজার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র, লাখ লাখ মানুষ প্র্যাকটিক্যাল অবস্থা কিন্তু এত সহজ না এদের ব্যবস্থাপনা করা। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দেখেছি, ক্যাপাসিটি যদি ১০০ জনের হয় তাহলে ২০০ জন লোক আশ্রয় নেয়। তাদের খাওয়া-দাওয়া, পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করি,' বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার পরে কিন্তু বিচ খালি হয়ে গেছে। সব ট্যুরিস্ট অ্যাক্টিভিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি কথা বলেছি, বিজিবি, পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ—সবার প্রচেষ্টায় আমরা তাদের হোটেলে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় কেউ ছিল না।'
'রাত সাড়ে ৯টার সময় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন দিয়েছেন যে, "এখনো বিচে মানুষ সেলফি তুলতেছে। আনন্দ করতেছে। এটাকে তোমরা নিয়ন্ত্রণ করো।" পরে আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলার পরে বিজিবি বিচ খালি করেছে,' বলেন তিনি।
এনামুর রহমান আরও বলেন, 'সরকার চুপ করে বসে থাকেনি। অ্যাকশন নিয়েছে।'
Comments