কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

Lightning
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এক নারী দগ্ধ হয়েছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চারজন হলেন—লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের সফিরহাট এলাকার পান ব্যবসায়ী সফিয়ার রহমান (৫৮), কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মধুপুর ক্লিনিকপাড়ার বাসিন্দা চামেলী রানী (৪২) এবং কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের দৈলং গ্ৰামের বাসিন্দা নিরোধ দাস (৬০) ও করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বাহিরচর এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমান (৩০)।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে দোকানে যাওয়ার পথে সফিয়ার রহমান বজ্রপাতে মারা যান।

'মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন চামেলী রানী। সে সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে,' বলেন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান।

এদিকে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার হাওর এলাকায় বাড়ির সামনে ধান সেদ্ধ করার সময় বজ্রপাতে নিরোধ দাস (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এতে তার স্ত্রী রাণী দাস দগ্ধ হয়েছেন।

ইটনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ধান সেদ্ধ করছিলেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। বজ্রপাতে স্বামী মারা যান, আর তার স্ত্রী আহত হন। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত। সৎকারের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।'

এদিন সন্ধ্যায় করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বাহিরচর এলাকায় বজ্রপাতে মতিউর রহমান (৩০) নামে এক যুবক মারা যান।

মতিউর ওই এলাকার আব্দুল আশিদের ছেলে। ওই যুবকের চাচা নিয়ামতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শরিফ জানিয়েছেন, ধান আনতে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মতিউর ট্রাক্টর চালিয়ে বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে গিয়ে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

2h ago