সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি দ্রুত বাড়ছে, ৫ উপজেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি জেলায় বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উত্তরের অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এর মধ্যে বাড়ছে যমুনা নদীর পানিও। গত তিন দিনে যমুনায় প্রায় এক মিটারের বেশি পানি বেড়েছে।

যমুনার পানি দ্রুত বাড়ায় উত্তরের জেলা সিরাজগঞ্জের পাঁচ উপজেলার দুই লাখেরও বেশি মানুষ বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, গত তিন দিন ধরে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি এসে পড়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর পানি পরিমাপক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সকালে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জের হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার নিচে ১১ দশমিক ৯৭ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

একই সময়ে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৯ সেন্টিমিটার নিচে ১৩ দশমিক ৭১ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসেন জানান, যমুনা নদীর পানি গত তিন দিন ধরেই প্রতিদিন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে।

'যমুনার পানি আরও কয়েকদিন বাড়তে পারে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে যমুনার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে', বলেন তিনি।

উজানে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় যমুনা নদীতে পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে দ্রুত বেগে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের পাঁচটি উপজেলা বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর, শাহজাদপুর, কাজিপুর, বেলকুচি ও চৌহালি উপজেলার প্রায় ২৫টি ইউনিয়নের নদীপাড়ের নিচু ও চর এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এতে প্রায় দুই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়তে পারে।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, আসন্ন বন্যা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

'গত বছরের মতো এ বছরও বন্যাপ্রবণ পাঁচ উপজেলায় প্রায় ১৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে মেডিকেল টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে', বলেন তিনি।

এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে ৬৯৫ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আরও বলেন, 'পাশাপাশি নগদ টাকা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বন্যাকবলিত হলেও আতঙ্কের কারণ নেই। বন্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh exports to EU

RMG exports to EU rise by 2.99% in Jan-Nov

In the 11 months, Bangladesh shipped garments worth $18.15 billion, second highest after China

1h ago