ঘূর্ণিঝড় রিমাল

হাতিয়ায় ৬০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত, স্রোতে ভেসে শিশুর মৃত্যু

হাতিয়ার উত্তর অংশে জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ভেসে গেছে লোকালয়। ছবি: স্টার

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নোয়াখালীতে বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৫ উপকূলীয় উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে কয়েকশ ঘরবাড়ি বিধ্বস্তসহ ৩৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের এক কিশোর পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে মারা গেছে।

হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

মৃত মো. মান্না (১২) নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মোক্তার বাড়ির নবীর উদ্দিনের ছেলে।  

ইউএনও শুভাশীষ চাকমা আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলায় ৩৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপের ৬০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ২ হাজারের বেশি গবাদি পশু মারা গেছে। 

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাতিয়ার প্রায় ৬০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। ছবি: স্টার

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় রিমালের আঘাতে ৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।   

জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ আছে।

পল্লী বিদ্যুৎ নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে জেলার ৯ উপজেলায় ৫২টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে, ১৮টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। কয়েকশ গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। এতে অন্তত ৫০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।'

হাতিয়া পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাতিয়ায় ২০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক আছেন। ঝড়ে ৩১টি খুঁটি ও ৩০০ কিলোমিটার বিদ্যুৎলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ৪০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।'

জানতে চাইলে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জেলার উপকূলীয় ৫টি উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

14h ago