খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় ৬০৭ কোটি টাকার মাছের ক্ষতি

শুধু বাগেরহাট জেলাতেই মৎস্য সম্পদের ক্ষতির পরিমাণ ৪৬৭ কোটি টাকা।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার বিস্তীর্ণ এলাকার মাছের ঘের ও পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। ছবিটি আজ মঙ্গলবার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়ন থেকে তোলা। ছবি: হাবিবুর রহমান

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় মাছের ঘেরগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে মৌসুমের শুরুতে সাদা সোনা হিসেবে পরিচিত বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘেরগুলো জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কয়েক লাখ মৎস্য চাষি।

খুলনা বিভাগীয় বিভাগীয় মৎস্য অফিস ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা তৈরি করেছে। তাতে দেখা গেছে, খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় মোট ৬০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে।

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দের কুমার পাল বলেন, জেলায় ২৪৫ কোটি টাকার মাছ ও মাছ চাষের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, ৩৮টি ইউনিয়নের ৩৬০০টি পুকুর, ৯১১৫টি ঘের, ১৩৫৬টি কাঁকড়া-কুচিয়া খামার প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩০৭৮ মেট্রিক টন মাছ, ২৫৬৪ মেট্রিক টন চিংড়ি, ৬৩৬ মেট্রিক টন পোনা মাছ, ১০২ মেট্রিক টন কাঁকড়া-কুচিয়া পানিতে ভেসে গেছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার বিস্তীর্ণ এলাকার মাছের ঘের ও পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। ছবিটি মঙ্গলবার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়ন থেকে তোলা। ছবি: হাবিবুর রহমান

অন্যদিকে বাগেরহাটে এই ক্ষতির পরিমাণ ৪৬৭ কোটি টাকা। ওই জেলায় ৩৭টি ইউনিয়নের ৪৫০০টি পুকুর, ২৭ হাজার ৫০০টি ঘের, কাঁকড়া-কুচিয়ার ৩ হাজার খামার প্লাবিত হয়েছে। এতে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মাছ, ৫ হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি, ৬৬০ মেট্রিক লাখ পোনা মাছ, ৭০ মেট্রিক টন কাঁকড়া-কুচিয়া পানিতে ভেসে গেছে। সাতক্ষীরায় ৩০ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একেবারেই মৌসুমের শুরুর সময় ছিল। আমারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঢাকায় পাঠিয়েছি। তাদেরকে প্রণোদনা দিয়ে সহায়তার সুপারিশ করা হয়েছে।

Comments