গল্প, ফটোশুট, সাক্ষাৎকারে অনন্ত-বর্ষার আড়াই ঘণ্টা

ফটোশুট শুরু হওয়ার আগে আড্ডায় অনন্ত জলিল ও বর্ষা। ছবি: স্টার

বাংলা সিনেমার আলোচিত জুটি অনন্ত জলিল ও বর্ষা আজ রোববার বিকেলে এসেছিলেন দ্য ডেইলি স্টার অফিসে। গল্প, ফটোশুট ও সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিলেন তারা।

বিকেল ৫টায় আসার কথা থাকলেও সাড়ে ৪টার মধ্যেই চলে আসেন অনন্ত জলিল। অফিসে আসার পর ফটোশুট ও সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে তিনি ঘুরে দেখেন নিউজরুম। সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে তিনি আধাঘণ্টা সময় নেন মেকআপ করতে। এরপর শুরু হয় ফটোশুট।

অনন্ত জলিল সাড়ে ৪টার দিকে পৌঁছে গেলেও শুটিং থাকায় চিত্রনায়িকা  বর্ষা ডেইলি স্টার ভবনে আসেন সাড়ে ৫টায়। কিছুটা দেরি হবে, সেটা আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

বিকেল ৫টায় আসার কথা থাকলেও সাড়ে ৪টার মধ্যেই ডেইলি স্টার সেন্টারে পৌঁছে যান অনন্ত জলিল। ছবি: স্টার

বর্ষা নিউজরুম ঘুরে চলে যান মেকআপ রুমে, এরপর শুরু হয় ফটোশুট।

ডেইলি স্টার সেন্টারের রিসিপশনে বর্ষা। ছবি: স্টার

আলোচিত এই জুটি ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন ফটোগ্রাফার শেখ মেহেদী মোর্শেদ।

দুজনে আলাদা আলাদা ছবি তোলার পাশাপাশি যুগল ছবিও তুলেছেন। সারাক্ষণ খুনসুটিতে মেতে ছিলেন এই জুটি।

সবমিলিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ডেইলি স্টার সেন্টারে ছিলেন তারা। এরই মাঝে জমে ওঠে নানান গল্প।

ফটোশুটে অনন্ত জলিল। ছবি: স্টার

অনন্ত জলিল বলেন, 'প্রথমবার এই অফিসে আসলাম। দারুণ একটা পরিবেশ। এখানকার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমি সাধারণত কোনো পত্রিকা অফিসে ফটোশুটের জন্য যাই না। তবে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত ছবি ও লেখা আমার ভালো লাগে। ভালো লাগা থেকেই আসা।'

ডেইলি স্টার সেন্টারের সপ্তম তলায় নিউজরুমে অনন্ত জলিল। ছবি: স্টার

বর্ষা বলেন, 'ডেইলি স্টার অফিসে আজ প্রথমবার এসেছি। এখানকার পরিবেশ খুব কমফোর্টেবল। সবকিছু মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করলাম সময়টুকু। ছবি তোলার এমন চমৎকার পরিবেশ আর কোথাও দেখিনি।'

ডেইলি স্টার সেন্টারের সপ্তম তলায় নিউজরুমে বর্ষা। ছবি: স্টার

অনন্ত জলিল ২০১০ সালে 'খোঁজ: দ্য সার্চ' সিনেমার মাধ্যমে  আত্মপ্রকাশ করেন। তারপরে নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল জুটি হয়ে কাজ করেছেন বর্ষার সঙ্গে।

ফটোশুটে বর্ষা। ছবি: স্টার

এই জুটির 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা', 'মোস্ট ওয়েলকাম', 'কিলহিম', 'দিন: দ্য ডে'সহ ডজনখানেক সিনেমা রয়েছে। এ ছাড়া, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে 'নেত্রী দ্য লিডার'।

অনন্ত জলিল ও বর্ষা ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন।

Comments