ঐশ্বরিয়ার যত আয়ের উৎস
প্রথমে মিস ওয়ার্ল্ড জয়, তারপর রূপালী পর্দায় অভিনয় দিয়ে বিনোদন জগতে নিজের আলো ছড়িয়েছেন ঐশ্বরিয়া। বলিউডের সফল অভিনেত্রীদের মধ্য অন্যতম একজন তিনি। অভিনয়, প্রযোজনা, ব্রান্ড প্রোমোশন, ব্যবসা থেকে আয় করেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ঐশ্বরিয়ার নিট সম্পদের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি রুপি।
প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বলিউডের একজন প্রশংসিত অভিনেত্রী। তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৯৭ সালে মণিরত্নমের তামিল সিনেমা 'ইরুভার' দিয়ে রূপালী পর্দায় যাত্রা শুরু তার। এরপর ধাপে ধাপে সফলতার চূড়ায় পৌঁছেছেন, পেয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন কেবল বলিউডে নয়, হলিউডেও নিজের নাম লিখিয়েছেন।
আগেই বলেছি, ৫০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৭৬ কোটি রুপি। তার আয়ের বিভিন্ন উৎসের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া তিনি ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের একজন। এখন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের আয়ের উৎসগুলো জেনে নিন।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা
২০১০ সালে 'গুজারিশ' সিনেমাতে অভিনয়ের পর বিরতি নেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ২০১৫ সালে দীর্ঘ বিরতি ভেঙে ক্রাইম থ্রিলার 'জজবা' দিয়ে আবার রুপালি পর্দায় ফিরে আসেন। সিনেমাটিতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত ইরফান খান। এখানে ঐশ্বরিয়া শুধু অ্যাডভোকেট অনুরাধা ভার্মার চরিত্রে অভিনয়ই করেননি, বরং তিনি এই সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
ব্র্যান্ড থেকে আয়
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের দীর্ঘ দিনের চুক্তি আছে। সিএনবিসি টিভি১৮'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বলিউড আইকন ব্র্যান্ড প্রোমোটের জন্য প্রায় ছয় থেকে সাত কোটি রুপি পারিশ্রমিক পান। তিনি যেসব ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত আছেন তার মধ্যে আছে- লঙ্গিনস, ক্যাডবেরি, ল্যাকমে, টাইটান ওয়াচস, লরিয়াল প্যারিস, কোকা-কোলা, লাক্স, কল্যাণ জুয়েলার্স, ফিলিপস ইত্যাদি।
ব্যবসায় বিনিয়োগ
ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে পুষ্টিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা 'পসিবল'-এ কৌশলগতভাবে বিনিয়োগ করেছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। প্রতিবেদনে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তার বিনিয়োগ কোম্পানির বড় আর্থিক ফান্ড গঠনে প্রায় পাঁচ কোটি রূপি অবদান রেখেছিল। এর আগে, তিনি ও তার মা বৃন্দা কে আর বেঙ্গালুরুর পরিবেশ স্টার্টআপ 'আম্বি'তে এক কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছিলেন।
প্রোডাকশন ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
১৯৯৪ সালে অমিতাভ বচ্চন নিজের প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠান অমিতাভ বচ্চন করপোরেশন লিমিটেড (এবিসিএল) প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে থেকে ১৯৯৬ সালের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা আয়োজনের পর মেজর সাব ও মৃত্যুদাতার মতো সিনেমা প্রযোজনা করেছিল। ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সক্রিয়ভাবে এই প্রতিষ্ঠানটির অপারেশনাল ও প্রশাসনিক বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পরে, এবিসিএল ও উইজক্রাফট ইন্টারন্যাশনাল এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড মিলে দারুণ কিছু সিনেমা নির্মাণ করেছিল।
অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক
দুই দশকেরও বেশি সিনেমার ক্যারিয়ারে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন প্রতি সিনেমায় উল্লেখযোগ্য পারিশ্রমিক পান। তিনি বলিউডে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন। সিএনবিসি টিভি১৮-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি সিনেমার জন্য তিনি ন্যূনতম ১০ থেকে ১২ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নেন। তবে, পারিশ্রমিকের অঙ্কটা তার চরিত্রের সময়ের বা দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে। তিনি মণিরত্নমের 'পোন্নিয়িন সেলভান: ২' সিনেমাতে নন্দিনী ও মন্দাকিনি দেবীর চরিত্রে অভিনয় করে ১০ কোটি রুপি নিয়েছিলেন।
Comments