ভাঙা হাত নিয়েও কানের লাল গালিচায় আলোকিত ঐশ্বরিয়া

কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ দিন ধরেই নিয়মিত কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। কখনও শাড়ি-গয়নায় ভারতীয় সাজে, কখনও গাউনের পশ্চিমা সাজে, কখনো বা ময়ূর সেজেও চমকে দিয়েছেন এই নায়িকা।

তবে এবারে সাজ ছাপিয়ে নজর কেড়েছে ঐশ্বরিয়ার প্লাস্টার করা ডান হাত। ভাঙা হাত নিয়েই মেয়েকে সঙ্গে করে রেড কার্পেটে হেঁটেছেন তিনি।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা পরিচালিত 'মেগালোপোলিস' সিনেমার প্রদর্শনে লাল গালিচায় হাঁটেন তিনি। এসময় তার পরনে ছিল পোশাকশিল্পী ফাল্গুনী শেন পিককের তৈরি একটি কালো গাউন।

অন্যদিকে উৎসবের তৃতীয় দিন শুক্রবার সবুজ-রুপালী গাউন পরে লাল গালিচায় হাঁটেন ঐশ্বরিয়া। নাটকীয় পোশাকের লম্বা টেইল এবং সুউচ্চ হাতা নজর কেড়েছে সবার।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

তার দুটি রেড কার্পেট লুক নিয়েই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

অনেকেই ঐশ্বরিয়ার দুই লুককে বডি পজেটিভিটির পক্ষে জোরালো বার্তা হিসেবে প্রচার করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, '৫০ বছর বয়সেও দ্যুতি ছড়াচ্ছে ঐশ্বরিয়া।' 'কুইন' সম্বোধন করে তার মাতৃত্ব নিয়েও প্রশংসা করেছেন অনেকে।  

কান চলচ্চিত্র উৎসবে লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

তবে, তার লুক নিয়ে সমালোচনাও চলছে। অভিনেত্রীর দ্বিতীয় দিনের লুক দেখে অনেকে মজা করে লিখেছেন, 'আরাধ্যার স্কুল প্রোজেক্ট নাকি? কে ঐশ্বরিয়াকে স্টাইল করছে?' কেউ লিখেছেন, 'উদ্ভট পোশাকেই কি নজর কাড়া যায়?'

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ঐশ্বরিয়া আলো ছড়াচ্ছেন ২০০২ সাল থেকে। ওই বছর ভারী সোনার গয়না ও শাড়িতে প্রথম লালগালিচায় হাঁটেন এই অভিনেত্রী।

সেবার ঐশ্বরিয়ার কান সফর শুরু হয় 'দেবদাস' সিনেমা নিয়ে। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা শাহরুখ খান ও পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

এরপর প্রায় প্রতিবছরই এই উৎসবে যান তিনি। লাল গালিচায় ল'রিয়াল প্যারিসের অন্যতম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন ৫০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago