বিটিএস সদস্যদের কার শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন
বিশ্বখ্যাত কে-পপ ব্যান্ড বিটিএস তাদের পারফরম্যান্স ও মিষ্টি গান দিয়ে লাখ লাখ ভক্তের মন জয় করেছে। সারা বিশ্বে গড়ে তুলেছে বিশাল ফ্যানবেজ। এত বড় ফ্যানবেজ অন্য কোনো ব্যান্ডের আছে বলে জানা যায় না। মঞ্চে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের বাইরে এই সাতজনের অসাধারণ কিছু গুণাবলী রয়েছে। বিশেষ করে তাদের বাদ্যযন্ত্রের দক্ষতা ঈর্ষণীয়। তাই অস্বীকার করার সুযোগ নেই এই সাতজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী! এর বাইরে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও যথেষ্ট ভালো!
আসুন বিটিএস সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতার একাডেমিক তথ্য জেনে নিই।
কিম নাম-জুন ওরফে আরএম
মির্চির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার মূল নাম কিম নাম-জুন হলেও তিনি বিশ্বব্যাপী আরএম নামে পরিচিত। এই আরএম বিটিএসের দলনেতা এবং প্রধান র্যাপার। মজার বিষয় হলো তার আইকিউ ১৪৮ এবং ভাষা, গণিত, বিদেশি ভাষা ও সামাজিক অধ্যয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় দেশের শীর্ষ নম্বরধারীদের একজন। এখানেই শেষ নয়- আরএমের ব্রডকাস্টিং ও বিনোদনের ওপরেও বিশেষ ডিগ্রি রয়েছে।
কিম সিওক-জিন ওরফে জিন
তার মূল নাম কিম সিওক-জিন হলেও বিটিএস আর্মিদের কাছে জিন নামেই পরিচিত। তিনি খুবই জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় কণ্ঠের একজন সংগীতশিল্পী। এর বাইরে জিন একজন অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী ছাত্র। তিনি কঙ্কুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিল্ম অ্যান্ড ভিজুয়াল স্টাডিজে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হন। এ থেকে বোঝা যায় সংগীতের বাইরে সৃজনশীল শিল্পের প্রতি তার দারুণ আগ্রহ আছে। পরে তিনি সংগীত ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে লেখাপড়া করতে হানইয়াং সাইবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্কুলে ভর্তি হন।
জিওন জং-কুক ওরফে জাংকুক
জিওন জং-কুককে সবাই জাংকুক নামেই চেনেন। তিনি ব্রডকাস্টিং ও বিনোদনে ডিগ্রি নিয়েছেন। এর আগে তিনি সিউলের স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস থেকে স্নাতক শেষ করেন।
মিন ইয়ুন-গি ওরফে সুগা
একসময় আর্থিক অনাটনে পড়েছিলেন সুগা। যদিও তার মূল নাম মিন ইয়ুন-গি, তবে তিনি বিটিএস আর্মিদের কাছে সুগা নামেই পরিচিত। আর্থিক অনটনের মধ্যেও সুগা তার লেখাপড়া ছাড়েননি, বরং পড়ার প্রতি তিনি ছিলেন অটল। সুগা ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড বিনোদনে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হন। এরপর তিনি বিজ্ঞাপন ও মিডিয়া ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য হানইয়াং সাইবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
কিম তায়ে-হিউং ওরফে ভি
বিটিএস আর্মিদের কাছে খুবই পছন্দের একটির নাম ভি। যদিও তার মূল নাম কিন্তু কিম তায়ে-হিউং। ভি ২০১৪ সালে কোরিয়ান আর্টস হাই স্কুল থেকে ব্রডকাস্টিং ও বিনোদনে স্নাতক হন। এরপর তিনি বিজ্ঞাপন ও মিডিয়াতে এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছেন।
পার্ক জি-মিন ওরফে জিমিন
জিমিন গ্লোবাল সাইবার ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, জিমিনের মূল নাম পার্ক জি-মিন, কিন্তু বিটিএস আর্মিদের কাছে তিনি হয়ে গেছেন জিমিন। যাইহোক স্নাতক শেষ করে জিমিন বিজ্ঞাপন ও মিডিয়াতে এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছেন বলে মির্চির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জং হো-সিওক ওরফে জে-হোপ
জে-হোপ বিজ্ঞাপন ও মিডিয়াতে এমবিএ করেছেন। এর আগে তিনি গ্লোবাল সাইবার ইউনিভার্সিটি থেকে ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সবাই তাকে জে-হোপ নামে চিনলেও তার আসল নাম কিন্তু জং হো-সিওক।
প্রসঙ্গত কে-পপ ব্যান্ডগুলোর মধ্যে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড হলো বিটিএস। শুধু তাই নয় বিটিএসই প্রথম কে-পপ গ্রুপ, যাদের গান ইউএস বিলবোর্ডের শীর্ষে স্থান পেয়েছে। এছাড়া ইউএনে প্রথম এশিয়ান গ্রুপ হিসেবে পারফরম্যান্স, আধঘণ্টারও কম সময়ে কনসার্টের টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়া, গ্র্যামি নমিনেশন-যত সময় পেরিয়েছে বিটিএসের মুকুটে একটার পর একটা করে সাফল্যের পালক জুড়েছে। আর তাদের হাত ধরে কে-পপের চাহিদাও অপ্রতিরোধ্য গতিতে বেড়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে কে-পপের জনপ্রিয়তা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, কারো কাজ বিটিএসের জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রিত অ্যালবামের শিল্পী। বিটলসের পর তারাই দ্রুততম ব্যান্ড হয়ে ওঠে যাদের অ্যালবাম যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ অবস্থান অর্জন করেছে। দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তারা এটি করেছে।
বিটিএস ২০২০ সালের আগস্টে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বাধিক ইউটিউব ভিউয়ের রেকর্ড ভাঙে। তাদের প্রথম ইংরেজি গান 'ডায়নামাইট' এর ভিডিও মাত্র একদিনে ১০১.১ মিলিয়ন ভিউতে পৌঁছায়।
Comments