দেশের অর্থনীতি নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই: অর্থ উপদেষ্টা

সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বলেছেন, দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

তিনি বলেছেন, অর্থনীতি সম্পর্কে আমি খুব ভালো করেই জানি ভেতরে কী ঘটছে। তাই, হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির পৃথক দুটি বৈঠকে সভাপতিত্ব শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সরকার এ বিষয়ে একটি মসৃণ উত্তরণ কৌশল (এসটিএস) অনুসরণ করছে। 'স্মুট মানে হঠাৎ করে পড়ে যাওয়া নয়, বরং বিমানের অবতরণের মতো এবং আমরা এটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, কিছু ত্রুটি সত্ত্বেও দেশের পারফরম্যান্স সামগ্রিকভাবে সন্তোষজনক হওয়ায় অনেক দেশ বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। 'এমনকি অনেক দেশ এটাও বলছে, আমরা যদি এটা করতে পারি, তাহলে তারা উৎসাহিত হবে। আমরাও দেখব আমাদের গর্ব আরও বাড়বে। হয়ত কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন হতে পারে, তবে আমরা সে ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসের জট দূর করা হয়েছে।

বাজারে ভোজ্য ও সয়াবিন তেলের প্রাপ্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা অনেক সময় নানা পথ অনুসরণ করেন। তবে এ ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ব্যবসায়ীরা যতই চালাক হোক না কেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের আরও বুদ্ধিমান হতে হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য উপদেষ্টাও যথাযথভাবে তদারকি করছেন।

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড সম্প্রতি যে বিবৃতি দিয়েছেন তা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বহুপক্ষীয় বা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।

দ্য গার্ডিয়ানের এক সাংবাদিকের বাংলাদেশ সম্পর্কে সাম্প্রতিক একটি নিবন্ধ সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'আগে আমরা খাদের কিনারায় ছিলাম। কিন্তু, এখন আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং এগিয়ে চলেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা অনেক কিছু লেখে। বাইরের সবাই কি সবকিছু জানে? তারা তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং মতামত দিয়ে লেখে।'

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

17h ago