গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সার্জেলের বার্ষিক বিক্রি ১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি

সার্জেল

এ দেশে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ হিসেবে পরিচিত 'সার্জেল'র বিক্রি বছরে এক হাজার কোটির মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইএমএস হেলথের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে এই ওষুধ বিক্রি হয়েছে ৯০০ কোটি টাকার বেশি। বছর শেষে তা এক হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে।

এটি দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পণ্যগুলোর অন্যতম।

হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. হালিমুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের এই পণ্য এত বেশি বিক্রি হওয়ায় আনন্দিত। যদিও এখনো এর বিক্রি এক হাজার কোটি টাকায় পৌঁছায়নি।'

তার মতে, 'গত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রির প্রবৃদ্ধি কম। তবে এখনো এর বিক্রি বাড়তে পারে।'

দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া ওষুধগুলোও একই ধরনের। একই গ্যাস্ট্রোলজিক্যাল জেনেরিকের 'ম্যাক্সপ্রো' ও 'প্যান্টোনিক্স'র বিক্রি যথাক্রমে ৪৮৬ কোটি ও ৩৭৬ কোটি টাকা।

মো. হালিমুজ্জামানের ভাষ্য, ওষুধের বাজারে গ্যাস্ট্রোলজিক পণ্যের বিক্রি সবচেয়ে বেশি। চিকিৎসক ও রোগীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ায় সার্জেল বছরের পর বছর ধরে বিক্রির শীর্ষে আছে।

শীর্ষ বিক্রিত ১০ ওষুধের মধ্যে পাঁচটিই গ্যাসের ওষুধ।

গত নয় মাসে সার্জেল বিক্রি হয়েছে ৯১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ওষুধের বাজারে শুধু সার্জেল একাই দুই দশমিক ৬৭ শতাংশ বাজার দখল করতে পেরেছে।

ম্যাক্সপ্রোর মার্কেট শেয়ার এক দশমিক ৪১ শতাংশ। প্যান্টোনিক্সের শেয়ার এক দশমিক ১০ শতাংশ।

'দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী যত মানুষ আছেন তাদের বেশিরভাগই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান। কারণ আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়ার প্রবণতা কম।'

সার্জেল ছাড়াও গত কয়েক বছর ধরে আরও কয়েকটি ওষুধ অনেক বিক্রি হচ্ছে উল্লেখ করে হালিমুজ্জামান জানান, গত নয় মাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ বিক্রিত ওষুধ নাপা। এর পরিমাণ ৩৩৮ কোটি টাকা।

সেফ-থ্রি, মোনাস, এক্সিয়াম, সেক্লো ও বিজোরানের বার্ষিক বিক্রি ২০০ কোটি টাকার বেশি।

দেশে বছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি বিক্রি হয় ৩১ জেনেরিক ওষুধ। তথ্য বলছে, ৭৯ জেনেরিক ওষুধ বিক্রি হয়েছে ৫০ কোটি টাকার ওপরে।

রেনাটা পিএলসির কোম্পানি সেক্রেটারি জুবায়ের আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী যত মানুষ আছেন তাদের বেশিরভাগই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খান। কারণ আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়ার প্রবণতা কম।'

তার মতে, এ কারণে অনেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন।

তিনি জানান, রসুভাস্ট্যাটিন ওষুধের চাহিদা বাড়ছে। এটি কোলেস্টেরল কমায়। কারণ অনেকে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। উন্নত দেশেও এ ধরনের ওষুধের চাহিদা বেশি। দেশেও ভালো বিক্রি হতে পারে।

জুবায়ের আলম আরও বলেন, 'ম্যাক্সপ্রো দিয়ে আলসার, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ ও হাইপার অ্যাসিডিটি সম্পর্কিত সমস্যায় থাকা বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।'

'সব ম্যাক্সপ্রো ফর্মুলেশন ইউএসএফডিএ, ইউকেএমএইচআরএ ও আনভিসা অনুমোদিত কারখানায় তৈরি হয় যাতে রোগীরা দেশের সেরা ইসোমেপ্রাজল পান।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

3h ago