বকেয়া বেতনের দাবিতে আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

পোশাক শ্রমিক
আশুলিয়ার বিশমাইল-জিরাবো সড়কের আমতলা এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে করে ওই আঞ্চলিক সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ আছে।

আজ রোববার সকাল ৮টায় আশুলিয়ার বিশমাইল-জিরাবো সড়কের আমতলা এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ছেইন এ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার কয়েক শত শ্রমিক।

দুপুর ১টায় এই প্রতিবেদনে লেখার সময় তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন।

শ্রমিকরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত মাসের বেতন এখনো দেওয়া হয়নি। মাসের প্রথম সপ্তাহে দেওয়ার কথা। প্রথম সপ্তাহে বেতন না দেওয়ায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন।

এ কারণে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কারখানায় আবার ১৫ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির নোটিশ দেওয়া হয়। বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে আজ সকাল থেকে শ্রমিকরা কারখানার সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

কারখানার এক শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত মাসের বেতন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দেওয়ার কথা ছিল। মালিকপক্ষ বেতন পরিশোধে টালবাহানা করছেন। বেতন পরিশোধ না করে কারখানা দুই দফা বন্ধ করা হয়। কারখানা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাই।'

বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ৫ আগস্টের পর থেকে বেতন দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। শ্রমিকদের আসামি করে মামলা হয়েছিল। পরে মামলা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা কাজে ফিরেন। কিন্তু তা তুলে নেওয়া হয়নি।'

'এ ছাড়াও, শ্রমিকদের জানুয়ারির বেতন পরিশোধ করা হয়নি। উল্টো দফায় দফায় কারখানা বন্ধ করা হয়। আমরা শ্রমিকদের নামে মামলা তুলে নেওয়া ও তাদের বেতন দেওয়ার দাবি জানাই।'

কারখানাটির মার্কেটিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং ডিরেক্টর মো. তারেকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যাংক সুবিধা পাচ্ছি না। সরকার পতনের পর বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংক আমাদের সুবিধা দিচ্ছে না। কারখানায় ১৮ শ শ্রমিক আছে। মালিক কারখানা পরিচালনার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করছেন। এ কারণে মালিক নিজের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে শ্রমিকদের গত ডিসেম্বরের বেতন দিয়েছেন। তবে এ মাসে শ্রমিকরা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করায় রপ্তানি আটকে গেছে। সময় মতো দিতে না রপ্তানি বাতিল হবে। সে ক্ষেত্রে বেতন দেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে।'

আশুলিয়া শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল থেকে শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে আছেন। ঘটনাস্থলে শিল্পপুলিশ আছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। সম্ভব হচ্ছে না। মালিক দেশের বাইরে। বিজিএমইএতেও খবর দিয়েছি। শ্রমিকরা মালিকপক্ষ বা বিজিএমইএ থেকে আশ্বাস না পেলে রাস্তা ছাড়বে না বলে জানিয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

3h ago