৮ বছরেও গড়ে ওঠেনি চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চল

চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চল
অলঙ্করণ: আনোয়ার সোহেল/স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নিলেও গত আট বছরেও শুরু হয়নি চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল (সিইআইজেড) তৈরির কাজ।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বন্দর নগরীর আনোয়ারা উপজেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বেজা ৭৮৪ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। কয়েকটি রাস্তা তৈরির পাশাপাশি ইউটিলিটি সেবা দেওয়া হয়েছে।

সিইআইজেড তৈরির কাজ এখনো শুরু হয়নি। কারণ ডেভেলপারের অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন।

বেজা প্রাথমিকভাবে ২০১৬ সালের অক্টোবরে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিএইচইসি) সঙ্গে চুক্তি করে।

নানা কারণে সিএইচইসির সঙ্গে ডেভেলপার চুক্তি ও জমি ইজারা চুক্তি না হওয়ায় ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রকল্পটি ভেস্তে যায়।

এরপর ২০২২ সালের ১৬ জুলাই চীনের পক্ষ থেকে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) নতুন ডেভেলপার হিসেবে মনোনীত করা হয়।

একই বছরের জুনে সিআরবিসির সঙ্গে সহযোগিতা ও বিনিয়োগের শর্তে বেজা রাজি হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বেজা গত বছরের অক্টোবরে সিআরবিসির সঙ্গে শেয়ারহোল্ডার চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল।

সূত্র জানায়, গত মাসে ডেভেলপার এগ্রিমেন্ট ও জমি ইজারা চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া সংসদীয় বিভাগ ও অর্থ বিভাগে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত সংস্থাটি এই অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির উদ্যোগ নেয়।

২০১৪ সালের জুনে চীন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব দেন।

সফরকালে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তিও করে বেজা। পরে তা বাস্তবায়নে ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়।

এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চীন ঋণ দিচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য স্পেশাল পারপাস কোম্পানি (এসপিসি) গঠন করা হবে। এটি চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করবে। এখানে দুই লাখ মানুষের কাজের সুযোগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt slashes heart stent prices by up to Tk 88,000

Health ministry revises rates for US-made coronary stents to ease patient costs

12m ago