অভিযান, জরিমানাতেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না পেঁয়াজের বাজার

পেঁয়াজের দাম
ছবি: সংগৃহীত

দেশের কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান সত্ত্বেও পেঁয়াজের দাম কমেনি।

রাজধানীর অন্যতম বড় কাঁচাবাজার কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ বাবুল মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল রোববার দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৯৬ থেকে ২২০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ভারত আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করার পর রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকার বেশি বেড়ে ২৪০ টাকায় দাঁড়ায়।

রান্নার অন্যতম মূল উপাদান পেঁয়াজের একটি প্রধান উৎস ভারত।

গতকাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, 'একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে তা কীভাবে ২০০ টাকা হয়?'

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ৪৩টি টিম সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ৮০ প্রতিষ্ঠানকে মোট তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, 'বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বেশ কয়েকটি টিম চকবাজার ও শ্যামবাজার এলাকায় কাজ করছে।'

তিনি আরও বলেন, 'কেউ বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য মজুদ করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।'

কিন্তু এসব উদ্যোগ পেঁয়াজের দাম কমাতে এখন পর্যন্ত তেমন প্রভাব ফেলেনি।

গতকালও পাইকার বাবুল দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।

গত শনিবার থেকে পাবনায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়।

গত সপ্তাহে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে চার হাজার টাকা থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায়। পাইকারি ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পেঁয়াজ এখন মণপ্রতি সাত হাজার টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।'

দিনাজপুরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। গত শুক্রবার তা ছিল ৯০ টাকা কেজি।

পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন, 'ভারতের নিষেধাজ্ঞার আগেই সে দেশ থেকে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।'

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে চিঠি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, 'পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে।'

'নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি চলমান থাকবে' জানিয়ে তিনি বলেন, 'জেলাগুলোয় যৌক্তিক দামে পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়টি দেখভাল করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

Comments