দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী, কৃষি, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তুলা,
রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার প্রয়োজন হয়, আর উৎপাদন হয় ২ লাখ বেল। চাহিদার অন্তত ২০ শতাংশ বা ১৫ লাখ বেল তুলা দেশে উৎপাদন করার সুযোগ আছে। তাই সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হবে। হাইব্রিড ও বিটি তুলার চাষ করতে পারলে বছরে দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব হবে।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) মিলনায়তনে দেশে প্রথমবারের মতো বিটি তুলার ২টি জাতের অবমুক্ত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'দেশে তুলার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে। বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, যেন দেশেই চাহিদার ২০ শতাংশ তুলা উৎপাদন করা যায়।'

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিডিবির নির্বাহী পরিচালক ফখরে আলম ইবনে হাবিব।

তিনি বলেন, 'দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা আছে। দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ২ লাখ বেল। ফলে বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানিতে বছরে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। তবে দেশে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ১৬ লাখ বেল।'

তিনি জানান, বিটি তুলা চাষ করে বিশ্বের অনেক দেশ আমদানিকারক দেশ থেকে রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বে ১৯৯৬ সালে প্রথম বিটি তুলার চাষ করা হয় এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ২০০২ সালে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। বায়োসেফটি গাইডলাইন অনুযায়ী সব গবেষণা কার্যক্রম সমাপ্তির প্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালের ৭ মে ন্যাশনাল কমিটি অন বায়োসেফটি ভারতের জে কে এগ্রি-জেনেটিক্স লিমিটেডের উদ্ভাবিত ২টি তুলার জাত জে কে সি এইচ ১৯৪৭ বিটি এবং জে কে সি এইচ ১৯৫০ বিটি মাঠ পর্যায়ে অবমুক্তির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রবন্ধে জানান হয়, বিটি তুলার গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৪ হাজার ৫০০ কেজি। বিটি তুলা চাষে বলওয়ার্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয় ১২-১৫ শতাংশ কমবে এবং উৎপাদন ১৫-২০ শতাংশ বাড়বে। বিটি তুলা চাষে প্রাকৃতিক দূষণ কম ও কৃষকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

10h ago