ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে চট্টগ্রামে বন্দরের কাজ
বেশ কয়েকদিনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পর চট্টগ্রাম বন্দরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে আমদানি-রপ্তানির কাজ।
তবে বন্দরে কাজ স্বাভাবিক থাকলেও রাস্তায় নিরাপত্তার অভাবে গত কয়েকদিন আমদানিকারকরা বন্দর থেকে পণ্য নেননি।
আজ বুধবার দুপুর থেকে বন্দর থেকে আমদানি করা পণ্য নেওয়ার পরিমাণ বাড়ছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন বন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় তথা আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দুই হাজার ২৩৮ পণ্যভর্তি কনটেইনার খালাস নিয়েছেন আমদানিকারকরা।
একইভাবে দুই হাজার ৯৫৮ টিইউএস রপ্তানি পণ্যভর্তি কনটেইনার জাহাজে তোলা হয়েছে।
আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত পণ্য খালাস হয়েছে দুই হাজার ৩৪৯ টিইউএস কনটেইনার। এখনো বন্দরের ইয়ার্ডে ৪২ হাজার ৬৩৮ টিইউএস কনটেইনার খালাসের অপেক্ষায় আছে।
আমদানিকারকরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, রাস্তায় পণ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই পণ্য খালাস কমিয়েছেন। তবে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় রাস্তায় বা কারখানায় পণ্য রাখাও নিরাপদ মনে করছেন না তারা।
তবে আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় পণ্য খালাস বাড়ছে বলেও জানান তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার নাজিউর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও পণ্য খালাস কার্যক্রম কমে এসেছিল। তবে আজ সকাল থেকে পণ্য খালাস বাড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।'
চট্টগ্রাম সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমদানিকারকের পক্ষে সিএন্ডএফ এজেন্ট মূলত পণ্য খালাস করে তা কারখানায় পৌঁছে দেয়। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ পণ্য খালাস করছেন না। রাস্তায় পণ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থেকে এমন হচ্ছে। ঢাকার কয়েকটি জায়গায় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান থেকে পণ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে।'
বুধবার সকাল থেকে পণ্য খালাস বাড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
Comments