শ্রমিক বিক্ষোভ: ১০ পোশাক কারখানা ও ২০ ওষুধ কারখানার উৎপাদন বন্ধ

পোশাক কারখানা, ওষুধ কারখানা, শ্রমিক বিক্ষোভ,
ছবি: স্টার

ভালো বেতন, চাকরি নিয়মিতকরণ ও দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মধ্যে শনিবার ও রোববার প্রায় ১০টি পোশাক ও ২০টি ওষুধ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। রাজধানীর পাশের সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও গাজীপুরে এ বিক্ষোভ হয়।

এসিআই হেলথকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মহিবুজ জামান বলেন, শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে এ শিল্পে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে।

তিনি বলেন, '১০ দিন আগে হঠাৎ করেই ওষুধ কারখানায় এই পরিস্থিতি শুরু হয়। আমার সন্দেহ হচ্ছে, এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে।'

'ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পর্যায়ক্রমে তাদের দাবি পূরণ করবেন। এখন বেতন বাড়ানো সম্ভব হবে, তবে অন্যান্য দাবি মেনে নিতে সময় লাগবে।'

এম মহিবুজ জামান বলেন, 'কিন্তু শ্রমিকরা কাজে না ফেরায় সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।'

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল করিম বলেন, আন্দোলনের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা কারখানা চালু করিনি।

তিনি আরও বলেন, 'ম্যানেজমেন্ট ও শ্রমিকদের মধ্যে বেশ কয়েকটি আলোচনায় হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। কারণ শ্রমিকরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের দাবি পূরণের সময় দিয়েছে।'

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'শ্রমিকরা অনুরোধ না শোনায় শনিবার থেকে আমাদের উৎপাদন ইউনিট বন্ধ রয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'যে দাবি যৌক্তিক তা পূরণ করা হবে।'

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসে এক হাজার ক্যাজুয়াল ও ছয় হাজার নিয়মিত শ্রমিক কাজ করেন বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আবদুল মুক্তাদিরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র, শিল্প ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করে সংকট নিরসনে তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, তার কোম্পানি ৩০০ অনিয়মিত কর্মীর সবাইকে নিয়মিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সাভার ও গাজীপুরে একটি জুতা, একটি সিরামিক ও বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

আশুলিয়া ও সাভারের অন্তত ১০টি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরওয়ার আলম জানান, সকাল নয়টার দিকে জিএবি লিমিটেড, স্নোটেক্স, স্টারলিং গ্রুপ অ্যাপারেলস, নাসা অ্যাপারেলস ও একমি এগ্রোভেট অ্যান্ড কনজ্যুমারস লিমিটেডের শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ জানান, তারা বোনাস, দুপুরের খাবার ভাতা ও শ্রমিকদের ছাঁটাই বন্ধ চান।

জিএবি লিমিটেডের একাধিক শ্রমিক জানান, দাবি পূরণ হবে কিনা তা না জানিয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, 'দাবি না মানলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।'

গাজীপুরে শ্রমিকদের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তিনটি স্থানে অবরোধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সকালে দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus, Modi exchange Eid greetings

The interim government on Sunday shared both the letters on its Facebook page

1h ago