কৃত্রিমভাবে ডিমের দাম বৃদ্ধি

ডায়মন্ড এগ ও সিপি বাংলাদেশকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা

সিপি বাংলাদেশ, ডায়মন্ড এগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ডিমের দাম, কৃত্রিমভাবে ডিমের দাম বৃদ্ধি, বাংলাদেশে ডিমের দাম,

২০২২ সালের আগস্টে কৃত্রিমভাবে ডিমের দাম বাড়ানোর অভিযোগে ডায়মন্ড এগ লিমিটেড ও সিপি বাংলাদেশকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)।

বিসিসি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আদেশ জারির দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ডায়মন্ড এগকে আড়াই কোটি টাকা এবং সিপি বাংলাদেশকে এক কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বিসিসির সদস্য হাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাজী ফার্মস লিমিটেডকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সুগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এর তিন মাসেরও বেশি সময় পর এই নির্দেশনা এলো।

যদিও পরবর্তীতে উভয় কোম্পানি এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়।

কিন্তু বিসিসির সর্বশেষ আদেশে বলা হয়েছে, ডায়মন্ড এগ অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশে ২০২২ সালের আগস্টে ডিমের বিক্রয় দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছিল।

একই সঙ্গে বিসিসির ওয়েবসাইটে পোস্ট করা আদেশে বলা হয়, কোম্পানিটি তাদের উৎপাদিত ডিমের সরবরাহ ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করত

প্রতিযোগিতা কর্তৃপক্ষ সিপি বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও যোগসাজশের প্রমাণ পেয়েছে এবং এতে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৫ আগস্ট থেকে একই বছরের ২০ আগস্টের মধ্যে কৃত্রিমভাবে ডিমের দাম বাড়িয়েছিল।

পরে দেশের বাজারে ডিমের দাম কমাতে সরকার আমদানির অনুমতি দেয়।

একই মাসের শেষের দিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিমের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়াতে প্রধান কোম্পানিগুলো একে অপরের সঙ্গে যোগসাজেশ করায় ২০২২ সালের আগস্টে প্রতি ডজন ডিমের দাম ৩০-৪০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছিল।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তথ্য অনুযায়ী, আজ ঢাকায় এক ডজন ডিমের খুচরা মূল্য ছিল ১৩৫ টাকা।

প্রতিযোগিতা কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে এবং প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করা কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কমিশন প্রতিযোগিতা আইন-২০১২ এর অধীনে কাজ করে, এই আইনটি আদালতে না গিয়েও মামলা নিষ্পত্তি করার অনুমতি দেয়।

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

38m ago