মার্জিন কমলেও ব্যাংক ঋণের সুদ ১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ কমাতে ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার নির্ধারণে যে মার্জিন ব্যবহার করে তা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ছয় মাসের মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট বেঞ্চমার্ক রেটের ওপর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ মার্জিন আরোপ করতে পারবে, আগে যা ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

মার্জিন কমানোর ফলে এপ্রিলে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হতে পারে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

স্মার্ট রেট দুই অঙ্কের সীমা অতিক্রম করায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্চ শেষে স্মার্ট ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক মার্জিন না কমালে সুদের হার ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যেত।

তিনি বলেন, 'সুদহারের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও সুদের মার্জিন কমিয়েছে।'

গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হারকে আরও বাজারভিত্তিক করতে ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা ৯ শতাংশ তুলে নিয়েছিল। তারপর স্মার্ট পদ্ধতি চালু করে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

তখন প্রাথমিকভাবে ব্যাংকগুলোকে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত মার্জিন আরোপের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে তা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

ঋণের ব্যয় ও ব্যবসায়ের সামগ্রিক ব্যয় বাড়ায় ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ বাড়ছে, তাই দ্বিতীয়বারের মতো মার্জিন কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, অর্থনীতিতে গতিশীলতা ধরে রাখতে মার্জিন কমানো হয়েছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, 'ব্যাংকগুলোর ওপর মার্জিন কমানোর প্রভাব পড়বে।'

তিনি বলেন, 'ট্রেজারি বিল ও বন্ডের ক্রমবর্ধমান সুদ ব্যাংকগুলোর আমানতের ব্যয় বাড়িয়েছে। কারণ আমানতকারীদের আকৃষ্ট করতে ব্যাংকগুলোকে বেশি সুদহার অফার করতে হচ্ছে। এটা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।'

২০২৩ সালের জুনে আমানত ও ঋণের গড় সুদের হার ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশে।

Comments

The Daily Star  | English

Police vehicle torched in Gopalganj

The vehicle was set on fire allegedly by activists of the banned Bangladesh Chhatra League (BCL) in Gopalganj's Ulpur area

51m ago