একদিনে ১৫১২০ কোটি টাকা ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
ছবি: সংগৃহীত

পলিসি রেট বাড়লেও তারল্য ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

গতকাল সোমবার নিলামে ৩৮টি ব্যাংক ও দুটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রেপো ও তারল্য সহায়তা হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৫ হাজার ১২০ কোটি টাকা নিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকটের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে ব্যাংকগুলো প্রতি কার্যদিবসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে তারল্য সহায়তা নিচ্ছে।

মঙ্গলবার দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।

অস্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রা বাজার, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সরকারি ট্রেজারি বিলের ক্রমবর্ধমান সুদের হার ও পলিসি রেট বৃদ্ধির কারণে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে কঠোর তারল্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তবে বেশিরভাগ ব্যাংক ইদানীং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে তারল্য সহায়তা নিচ্ছে। এছাড়া তারা সরকারি ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করছে, কারণ ট্রেজারি বিলের সুদের হার ১১ শতাংশে পৌঁছেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, 'ঋণের হারের সীমা প্রত্যাহারের পর আমানতের সুদহার বেড়েছে। ফলে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে।'

সোমবারের নিলামে তিনটি ব্যাংক একদিনের রেপো সুবিধার মাধ্যমে ২০২ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং ২০টি ব্যাংক ও দুটি এনবিএফআই ৭ দিনের রেপো সুবিধার মাধ্যমে ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা নিয়েছে।

এছাড়া ১২টি ব্যাংক একদিনের তারল্য সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে ৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা এবং তিনটি ইসলামী ব্যাংক ১৪ দিনের তারল্য সুবিধার মাধ্যমে ৪৮৫ কোটি টাকা নিয়েছে।

সুদের হার ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ, ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ৭ থেকে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ করে।

Comments

The Daily Star  | English

Seven killed in Mymensingh road crash

At least seven people were killed and several others injured in a head-on collision between a bus and a human haulier in Mymensingh’s Phulpur upazila last night

1d ago