খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল নীতি শিথিলের সিদ্ধান্তের ওপর হাইকোর্টের রুল

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল নীতিমালা শিথিল করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

ঋণখেলাপিদের জন্য এ সুবিধা কেন বাতিল করা হবে না, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তার জবাব চেয়ে একটি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একটি রিট আবেদনের শুনানিকালে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থসচিব, আইন সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ৮ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল নীতিমালা শিথিল করে গত ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করে।

এতে বলা হয়, ঋণখেলাপিরা এখন থেকে ২ বছরের পরিবর্তে ঋণ পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৮ বছর সময় পাবেন। শ্রেণিকৃত কোনো ঋণ সর্বোচ্চ ৩ বার পুনঃতফসিলযোগ্য হলেও খেলাপি ঋণ আদায়ে ৪ বার পুনঃতফসিলের সুযোগ দেওয়া হবে।

সার্কুলার অনুযায়ী, ঋণখেলাপিদের মেয়াদী ঋণ পুনঃতফসিল করার ৬-৮ বছরের মধ্যে তা পরিশোধ করা যাবে। এছাড়াও, মেয়াদী ঋণের ডাউন পেমেন্ট আগের ১০-৩০ শতাংশের পরিবর্তে আড়াই থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।

এই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২২ আগস্ট মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দায়ের করে।

আজ রিট আবেদনের শুনানিকালে এইচআরপিবির আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, 'বড় ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সার্কুলার জারি করেছে, যা বৈষম্যমূলক ও সংবিধানের পরিপন্থী। এই সার্কুলারের কারণে আমানতকারীরা এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ব্যাংকগুলির আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে'

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন রিট আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, 'সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে এ সার্কুলার জারি করে। জনস্বার্থে এ ধরনের সার্কুলার জারি করার আইনগত অধিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আছে। তাই রিট আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Govt to unveil 'July Declaration' on August 5

It will be presented before the nation at 5:00pm

1h ago