‘কেননা অনেক লোকে ভালো করে খায় না’
বাজারে নিত্যপণ্যের দামের উত্তাপ বেড়েই চলেছে। নিম্নবিত্তের মানুষ থেকে মধ্যম আয়ের পরিবার—সবার যেন হাত পুড়ছে বাজারে গিয়ে।
বাজারে সব ধরনের চালের দাম এখন বাড়তি। খোলা আটার দামও বেড়েছে কেজিতে ২-৫ টাকা। বড় দানার মসুর ডাল কিনতে কেজিতে বাড়তি গুণতে হচ্ছে ৫-১০ টাকা। এ ছাড়া ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে। এতে বিশেষ করে চাপ বাড়ছে স্বল্প আয়ের মানুষের ওপর।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, চালের দাম বাড়লে গরিব মানুষ মাছ-মাংস, ডাল, ফলমূলের মতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া কমিয়ে দেন। শাকসবজি খাওয়া বাড়িয়ে দেন তারা। আবার গরিব মানুষ যত খরচ করেন, তার এক-তৃতীয়াংশ খরচ হয় চাল কিনতে। তাই চালের দামের কমবেশি হলে তার প্রভাব গরিব মানুষের ওপর বেশি পড়ে।
এ অবস্থায় পাকস্থলিতে বাঁধা জীবনটাকে টেনে নিতেই হিমশিম খাচ্ছেন অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক মানুষেরা। টান পড়ছে ভাতের থালায়। তাই বাজারমূল্যের থেকে খানিকটা কম দামে খাদ্যপণ্য কিনতে ভিড় বাড়ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সেলিং পয়েন্টগুলোতে।
ছবির এই প্রবীণ মানুষগুলোও তেমন ভোর থেকেই টিসিবির ট্রাক আসার অপেক্ষায় ছিলেন।
সমাজের এমন বৈষম্যমূলক চিত্র বোঝাতেই হয়তো শিল্পী কবীর সুমন লিখেছিলেন, 'কেউ যদি বেশি খাও, খাবার হিসেব নাও/কেননা অনেক লোক ভালো করে খায় না;/খাওয়া না খাওয়ার খেলা, যদি চলে সারাবেলা/হঠাৎ কী ঘটে যায় কিচ্ছু বলা যায় না।'
রোববার খুলনার শেরে-ই-বাংলা রোড এলাকা থেকে ছবিটি তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী হাবিবুর রহমান।
Comments