মধ্যম আয়ের ফাঁদে না পড়াই বাংলাদেশের মূল চ্যালেঞ্জ: সালমান এফ রহমান
মধ্যম আয়ের ফাঁদে না পড়াই এখন বাংলাদেশের মূল চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেছেন, 'বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। পরের ধাপে পৌঁছানোটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের।'
বৃহস্পতিবার 'বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজ' এবং 'বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নতি' নিয়ে আয়োজিত এনআরবি প্রফেশনাল সামিট ২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে সালমান এফ রহমান বলেন, 'অনেক দেশই মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানোর পর পরের ধাপে পৌঁছাতে পারেনি। আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ হলো মধ্য আয়ের দেশের ফাঁদে না পড়া। আমাদেরকে এ ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।'
বর্তমান সরকারের সাফল্য ও উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার। ২০০৮ সালে জিডিপি ছিল ৯০ মিলিয়ন ডলার। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ১৪ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে। আমাদের জ্বালানি খাত, কৃষি, খাদ্যনিরাপত্তাসহ সব সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে।'
বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'তিনি ১৪ বছরের মধ্যে মানুষের মধ্যে সেই বিশ্বাসটুকু আনতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশে উন্নয়ন সম্ভব। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ সেটা পারেননি। কারণ তারা মনে করতেন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে দুর্ঘটনাক্রমে; এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রমাণ করেছে বাংলাদেশও বিশ্বে রোল মডেল হতে পারে।'
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, 'এ উন্নয়নের পেছনে মূল কারণ হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কৃষির উন্নয়ন। চতুর্থ কারণটি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ যে আমরা নির্মাণ করতে পেরেছি এর প্রমাণ করোনাভাইরাস মহামারির সময় পাওয়া গেছে। মহামারিতে কোনোকিছুই থেমে থাকেনি, সবকিছুই ডিজিটালি পরিচালিত হয়েছে।'
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এই ২ খাতে অনাবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাজধানীর হোটেল শেরাটনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সেবামূলক সংস্থা এনআরবি ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। আরও উপস্থিত ছিলেন কোডার্স ট্রাস্টের কো-ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ, ফাইবার এট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী, অধ্যাপক গোলাম মাতবর ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
Comments