দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নতির জন্য ২ প্রস্তাব অনাবাসী বাংলাদেশিদের

‘বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজ’ এবং ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নতি’ নিয়ে আয়োজিত হয়েছে এনআরবি প্রফেশনাল সামিট ২০২২।'
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল শেরাটনে ‘বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজ’ এবং ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নতি’ নিয়ে আয়োজিত হয়েছে এনআরবি প্রফেশনাল সামিট ২০২২। ছবি: পলাশ খান/স্টার

'বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজ' এবং 'বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নতি' নিয়ে আয়োজিত হয়েছে এনআরবি প্রফেশনাল সামিট ২০২২।'

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল শেরাটনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সেবামূলক সংস্থা এনআরবি ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আয়োজনে 'বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজ' এবং 'বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নতি' বিষয়ে ২টি পৃথক আলোচনা শেষে সরকারের কাছে ২টি প্রস্তাব করেছেন আলোচকরা।

এগুলো হলো- অনাবাসী বাংলাদেশিদের আইডেন্টিটি কার্ড (এনআরবি) প্রদান ও অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি।

আলোচনা শেষে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এ ২ প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিয়ষক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সমাপনীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কোডার্স ট্রাস্টের কো-ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান আজিজ আহমেদ, ফাইবার এট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী, অধ্যাপক গোলাম মাতবর ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ সহ বিভিন্ন প্রবাসী বাংলাদেশি।

বর্তমান সরকারের সাফল্য ও উন্নয়নের প্রশংসা করে সালমান এফ রহমান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে ১৪ বছরের মধ্যে মানুষের মধ্যে সেই বিশ্বাসটুকু হয়েছে যে বাংলাদেশে উন্নয়ন সম্ভব। এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ সেটা পারেননি। কারণ তারা মনে করতো, বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে দুর্ঘটনাক্রমে; এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রমাণ করেছে বাংলাদেশও বিশ্বে রোল মডেল হতে পারে।'

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এই দুই খাতে অনাবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এনআরবি ওয়ার্ল্ড এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত জন চৌধুরী বলেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন বাস্তব। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পার করে বাংলদেশ এখন টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের দিকে ধাবমান। এমতাবস্থায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত কার্যক্রম গ্রহণ করা সময়ের দাবি।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। একইসঙ্গে তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষির উন্নয়নেও এগিয়ে আসেন। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট গ্রিডের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এখন সময়ের দাবি।'

Comments