চাল আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক কমছে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, 'ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। বিরূপ আবহাওয়া হলে আমনের উৎপাদন কম হতে পারে। তাই সতর্কতা হিসেবে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছি। ইতোমধ্যে বেসরকারি চাল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স কমিয়েছি, আজই হয়তো গেজেট জারি হবে। তা ছাড়া, আমাদের খাদ্য মজুতও পর্যাপ্ত।'
আজ রোববার বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার এবং বিএডিসি ও বিসিআইসি সার ডিলারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে যে, সারের অভাব। এর ফলে কিছু অসাধু ডিলার সুযোগ নিচ্ছে। অহেতুক অস্থিরতা তৈরি করলে কেউই রেহাই পাবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'যিনি যে এলাকায় ডিলারশিপ নিয়েছেন, তাকে সে এলাকায় সার বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন কতটুকু বিক্রি হলো, কতটুকু অবশিষ্ট থাকল, তা নিয়মিতভাবে লিপিবদ্ধ করে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।'
খাদ্য বান্ধব ও ওএমএস কার্যক্রম সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে জেলা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় শুরু হবে বলে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী চাল বিতরণে যেন কোন অনিয়ম না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
বিএনপির আমলে সারের জন্য ১৯ কৃষককে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, 'বর্তমান সরকার সারে ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষক যাতে ভর্তুকির সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করা হবে। কোথাও অবৈধ সারের মজুদ পাওয়া গেলে সেই সার প্রকৃত কৃষকের মধ্যে তা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।'
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদি হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার রাশিদুল হক। এ ছাড়া, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা ফারুখ হোসেন পাটোয়ারী, নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হাসান ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিক বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আলমগীর কবির।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, নওগাঁ জেলায় ১ লাখ ১৯ হাজার ভোক্তা খাদ্য বান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচির আওতায় স্বল্প মূল্যে চাল কেনার সুবিধা পাবেন।
অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলার সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার এবং বিএডিসি-বিসিআইসি সার ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন।
Comments