বাজেটে ৬.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অনেকটাই উচ্চাকাঙ্ক্ষী: সিপিডি
প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ছয় দশমিক আট শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অনেকটাই উচ্চাকাঙ্ক্ষী বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সিপিডি তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, 'আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতিতে প্রত্যেকটা জায়গায় একটা অস্বস্তি রয়েছে। রাজস্ব আহরণ, ব্যয় ব্যবস্থাপনা, নিম্ন ব্যয় করার সক্ষমতা, ব্যাংক খাত থেকে উচ্চ হারে ঋণ নেওয়া, ব্যাংকিং খাতে দুরাবস্থা, তারল্য সীমিত হয়ে আসা, রপ্তানি নিম্নমুখী, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে না, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ স্থবির অবস্থায় রয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানির দিকে যাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের হার অনেকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা অনেক গর্ব করতাম, অনেক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সেখানেও নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'বাজেটে অর্থনীতির মূল সূচকগুলো আগামী অর্থবছরে প্রতিটি চলকে এমন প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ২০২৫ সালের জন্য সেগুলোর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সাযুজ্য নেই। ডিজিপি প্রবৃদ্ধি ২০২৫ অর্থবছরে ছয় দশমিক আট হিসাব করা হয়েছে। অথচ চলতি অর্থবছরের শুরুতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে সাত শতাংশ, সেটা এখন সংশোধিত ২০২৪ বাজেটে কমিয়ে পাঁচ দশমিক আট শতাংশে আনা হয়েছে।
'বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ তাদের হিসাবে দেখিয়েছে যে, আমরা প্রবৃদ্ধির হার পাঁচ দশমিক ছয় বা পাঁচ দশমিক সাত হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ছয় দশমিক আট শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অনেকটাই উচ্চাকাঙ্ক্ষী,' বলেন তিনি।
ফাহমিদা বলেন, 'এই প্রবৃদ্ধি কীভাবে হবে! এটার জন্য বিনিয়োগ লাগবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে সেটি অনেকখানি বেশি।' প্রাক্কলিত বিনিয়োগ আনতে বাড়তি ৩৪৩,৫৪৪ কোটি টাকার বিনিয়োগ লাগবে, এটা তো প্রায় অসম্ভব।'
তিনি আরও বলেন, 'গত দুই বছর থেকে মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের উপরে। গত মাসেও নয় দশমিক আট শতাংশ ছিল এবং ১০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই করে প্রায় সময়ই। আগামী ১২ মাসের মধ্যে এটা কমে যে সাড়ে ছয় শতাংশ হবে কীভাবে সেটা কিন্তু বোধগম্য নয়।'
Comments