এক-তৃতীয়াংশ অস্ট্রেলিয়ানের জন্ম বিদেশে

ছবি: সংগৃহীত

এক বছরে অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশে জন্মগ্রহণকারী জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ বেড়েছে।

সবশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা ছিল ২৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন। যার মধ্যে ৮ দশমিক ২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ানের জন্ম বিদেশে।

১৮৯১ সাল থেকে বিদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানদের সংখ্যা প্রথম রেকর্ড করা শুরু হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী মহামন্দার সময় অভিবাসন হ্রাসের কারণে ১৯৪৭ সালে বিদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানদের অনুপাত ছিল মাত্র ১০ শতাংশ। আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এই ধরনের গণনায় নিয়মিতভাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

এ মাসে অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত পরিসংখ্যান দেখায়, বিদেশে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার অনুপাত ২০২৩ সালে ৩০ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০২২ সালে যা ছিল ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ।

সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যায়, ইংল্যান্ড, ভারত, চীন এবং নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারীরা বিদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ানরা রয়েছেন তালিকার শীর্ষে। তাদের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।

দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী হচ্ছেন ভারতে জন্মগ্রহণকারীরা। বর্তমানে তাদের সংখ্যা ৮ লাখ ৪৬ হাজার। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৫৪ হাজার।

জনসংখ্যা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন। চীনা বংশোদ্ভূত জনসংখ্যা ৬ লাখ ৫৬ হাজার। আরও আছে নিউজিল্যান্ড। তাদের সংখ্যা ৫ লাখ ৯৮ হাজার।

বিভিন্ন তথ্য থেকে এটি অনুমান করা হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৮০ মিলিয়ন মানুষ (যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ) তাদের জন্ম নেওয়া দেশের বাইরে বসবাস করছে।

যুক্তরাষ্ট্রে অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বিদেশে জন্মগ্রহণ করা সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করছেন। সেখানকার ৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের ৮৮ দশমিক ১ শতাংশ দেশের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছেন। কুয়েতের জনসংখ্যার ৭২ দশমিক ৮ শতাংশের জন্ম বিদেশে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Reform commission reports: Proposals seek to bring youths into JS

Reform commissions on the constitution and election process have both recommended measures that increase opportunities for the youth to run for parliament and become more involved in politics, sparking both hope and criticism.

10h ago