মালয়েশিয়া প্রবাসীদের প্রতীক্ষার অবসান, ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু চলতি মাসে

প্রবাসীদের জন্য জালান চান সো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

ই-পাসপোর্ট নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের। 

নানা জটিলতা কাটিয়ে দেশটিতে এ মাসেই চালু হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। আগামী শুক্রবার ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে আবেদন গ্রহণ। 

সেবাটি দেবে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান 'এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড'।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানামুখী সেবা নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। 

শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি মালয়েশিয়া প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়নসহ অন্যান্য সেবাদানে হয়রানি ও দালালমুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়ে আসছে। 

এক্সপ্যাট সার্ভিসের পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন শনিবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কল সেন্টার দিয়ে কার্যক্রম শুরু হলেও, বর্তমানে যুক্ত হয়েছে বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সার্ভিস এবং পাসপোর্ট নেই এমন প্রবাসীদের জন্য ট্রাভেল পারমিট প্রদান, যা আগে সরাসরি হাইকমিশন থেকে সংগ্রহ করতে হতো প্রবাসীদের।

প্রবাসীদের বহুল প্রতীক্ষিত ই-পাসপোর্ট সেবা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং পরিচালক অভিনেতা এসএম আরমান পারভেজ বলেন, 'ই-পাসপোর্ট চালুর সব প্রক্রিয়া শেষ, আগামী শুক্রবার থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এক্সপ্যাট সার্ভিস প্রবাসীদের জন্য জালান চান সো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) প্রায় ১৪ হাজার বর্গফুট প্রশস্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিয়ে আসছে, যেখানে একইসঙ্গে সব সেবা যুক্ত থাকবে। ৪৫টি কাউন্টারের মাধ্যমে চলবে এ সেবা।'

কোনো প্রবাসী পাসপোর্ট করতে চাইলে ব্যাংক ড্রাফট থেকে শুরু করে ফর্ম পূরণ পর্যন্ত সব কাজে সহযোগিতা করবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। 
সেবা গ্রহণকারী প্রবাসীদের প্রয়োজন হলে +৬০৩৯২১২০২৬৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং এক্সপ্যাট সার্ভিস দ্রুততম সময়ে প্রবাসীদের আন্তরিক সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া, আউটসোর্সিং কোম্পানি ইসিএল রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাইরে একাধিক রাজ্যে, যেমন জহরবারু ও পেনাংয়ে হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে মোবাইল টিমের মাধ্যমে সেবা প্রদান করবে। 

ইসিএল পরিচালিত 'ওয়ান স্টপ' সার্ভিস সেন্টারটির সার্বিক কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় সরাসরি হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং সিসিটিভির মাধ্যমে তা হাইকমিশন থেকে সরাসরি মনিটরিং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

উন্নত দেশের আদলে এ ধরনের ব্যবস্থা প্রবাসে সেবা সহজতর ও দ্রুততর করবে এবং সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন আনবে বলে প্রত্যাশা মালয়েশিয়া প্রবাসীদের।
 

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

8h ago