ই-পাসপোর্ট পেতে বিড়ম্বনার শিকার আমিরাত প্রবাসীরা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট পেতে নতুন করে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। জন্ম সনদ দিয়ে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা প্রবাসীদের ইস্যু করা বহু সংখ্যক পাসপোর্টের আবেদন দুবাই কনস্যুলেটে ফেরত আসছে।
প্রতিদিন পাসপোর্টের জন্য এসে ফিরে যাচ্ছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা৷
এ বিষয়ে সিলেটের মাসুদুর রহমান বলেন, 'গত ২ মাস আগে জন্ম সনদ দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন করেছিলাম। আজ বৃহস্পতিবার কনস্যুলেটে এসে শুনি আমার আবেদন দেশ থেকে ফেরত এসেছে৷ কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। অথচ তখন জন্ম সনদ দিয়ে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলাম৷ আমি প্রবাসে থাকি আমার এনআইডি নেই৷ একদিকে আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে পাসপোর্ট আটকে গেল। এখন পাসপোর্ট কবে আসবে আর ভিসা কীভাবে হবে তা নিয়ে হয়রানির মধ্যে পড়ে গেলাম। কনস্যুলেট থেকে আমাকে বলা হচ্ছে এমআরপি করার জন্য। এমআরপি আসতে প্রায় ৩ মাস লেগে যায়।'
চট্টগ্রামের মুহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, 'আমি জন্ম সনদ দিয়ে ই-পাসপোর্টের আবেদেন করেছিলাম৷ আজ ২ মাস পর আমাকে জানানো হলো জন্ম সনদ দিয়ে ই-পাসপোর্ট হবে না৷ ই-পাসপোর্ট করতে এনআইডি বাধ্যতামূলক।'
এ বিষয়ে কনস্যুলেটের পাসপোর্ট সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য করতে অসম্মতি জানান৷
বাংলাদেশের পাসপোর্ট সেবা বিভাগ ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর তারিখের নির্দেশনা ছিল ই-পাসপোর্ট পোর্টালের ওয়েবসাইটে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদকে গ্রহণযোগ্য করা হয়েছে মর্মে সব দূতাবাস ও কনস্যুলেটকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে আজ ২০২৩ এর জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আমিরাতের আবুধাবি দূতাবাস ও দুবাই কনস্যুলেটে প্রায় ৬০ হাজার ই-পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছে।
এদিকে আমিরাতের নতুন আইন অনুযায়ী নামের একটি অংশ থাকলে ভিসা নবায়ন বন্ধ করা হয়েছে। প্রবাসীরা জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের সুযোগ না পেলে বা ই-পাসপোর্ট ইস্যু করতে না পারলে এদেশে হাজার হাজার প্রবাসীর ভিসা নবায়ন না হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ব্যাহত হতে পারে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের সুযোগ অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে আমিরাত প্রবাসীরা।
Comments