পর্তুগালে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত

অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও কর্মী, পর্তুগালের মানবাধিকার সংগঠন ফুনদাকাও দে আসিসতেনসিয়া মেদিকা ইন্তারনাসিওনালের (এএমআই) কর্মী তানিয়া বারবোসা ও আনা লুইসা ফেরেইরা অংশ নেন।
পর্তুগালে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত। ছবি: রাসেল আহম্মেদ
পর্তুগালে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত। ছবি: রাসেল আহম্মেদ

পর্তুগালের লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও কর্মী, পর্তুগালের মানবাধিকার সংগঠন ফুনদাকাও দে আসিসতেনসিয়া মেদিকা ইন্তারনাসিওনালের (এএমআই) কর্মী তানিয়া বারবোসা ও আনা লুইসা ফেরেইরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার ও অন্যান্য শহীদদের আত্মার শান্তি ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়।

এই দিবস উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

মানবাধিকারকর্মী আনা লুইসা ফেরেইরা তার বক্তব্যে বলেন, 'বাংলাদেশ শিশু ও নারীর অধিকার সংরক্ষণে অনেক কাজ করেছে।

তিনি শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও শিশু অধিকার সনদের চরম লঙ্ঘনের সমতুল্য বলে মন্তব্য করেন এবং শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবী তোলেন।

লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিব কুমার এই অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, 'সারা বিশ্বে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শেখ রাসেল দিবস পালন করা হচ্ছে।' আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং শিশুদের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশনের কথা উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেন যে, 'রাসেল হত্যার ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের লাখো নিপীড়িত শিশুর অধিকার আদায়ের পথ উন্মোচিত হবে।'

দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে শেখ রাসেলের জীবন নিয়ে আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার ছোট ছেলে শেখ রাসেল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাষ্ট্রদূত গভীর দুঃখের সঙ্গে মন্তব্য করেন, 'সেদিন ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু রাসেলও খুনিদের হাত থেকে রেহাই পায়নি।'

তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, বিশ্বের কোনও শিশুর এই ধরণের বর্বরতার মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়। তিনি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

Comments