তুরস্ককে গুঁড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে পর্তুগাল
প্রথমার্ধের শুরুর দিকে এগিয়ে যাওয়া পর্তুগাল প্রতিপক্ষের অবিশ্বাস্য ভুলে ব্যবধান বাড়িয়ে বসে পড়ল চালকের আসনে। ছন্দময় ফুটবলের ধারা বজায় রেখে দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার উদযাপনের মুহূর্ত আদায় করে নিল তারা। তুরস্ককে গুঁড়িয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোতে ওঠার পাশাপাশি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াও চূড়ান্ত করল দলটি।
শনিবার ডর্টমুন্ডের সিগন্যাল ইদুনা পার্কে 'এফ' গ্রুপের ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। বার্নার্দো সিলভা দলকে লিড এনে দেওয়ার সাত মিনিট পর সামেত আকায়দিন আত্মঘাতী গোল করলে আরও পিছিয়ে পড়ে তুরস্ক। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রবার্তো মার্তিনেজের শিষ্যরা। এরপর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস।
দুই ম্যাচেই জিতে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের শীর্ষে আছে পর্তুগাল। সমান ম্যাচ খেলে তুরস্কের অর্জন ৩ পয়েন্ট এবং চেক প্রজাতন্ত্র ও জর্জিয়া পেয়েছে ১ পয়েন্ট করে।
দুই দলই আক্রমণে কিছুটা ভীতি ছড়ানোর পর ম্যাচের ২১তম মিনিটে বার্নার্দোর গোলে উল্লাসে মাতে পর্তুগিজরা। বাম প্রান্ত থেকে নুনো মেন্দেসের কাটব্যাক তুরস্কের একজনের পায়ে লেগে আসার পর কোনো চাপ ছাড়াই জোরালো শটে জালে পাঠান তিনি।
কিছুক্ষণ পর আকায়দিন করে বসেন অমার্জনীয় ভুল। এই ডিফেন্ডার হঠাৎ করে ব্যাকপাস দেন গোলরক্ষকের উদ্দেশ্যে। কিন্তু আলতায় বায়িন্দির ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছিলেন পোস্ট ছেড়ে। তাকে এড়িয়ে বল গোললাইন অতিক্রম করলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয় পর্তুগালের।
বিরতির পর ফের খেলা শুরু হলে তৃতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মার্তিনেজের দলকে। ৫৫তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের বাড়ানো থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো। তবে বায়িন্দিরকে একা পেলেও নিজে শট না নিয়ে স্বার্থহীনভাবে ব্রুনোকে দেন পাস। ফাঁকা জালে বল ঢোকানোর সহজ কাজটা অনায়াসে সারেন তিনি।
এই অবদানের মাধ্যমে ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ আটটি অ্যাসিস্টের রেকর্ড স্পর্শ করেন ৩৯ বছর বয়সী রোনালদো। এতদিন কীর্তিটি এককভাবে ছিল চেক প্রজাতন্ত্রের সাবেক ফুটবলার কারেল পোবোরস্কির দখলে।
তাই গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জর্জিয়ার কাছে হারলেও শীর্ষস্থান হারাবে না পর্তুগাল। কারণ, চেক প্রজাতন্ত্র ও জর্জিয়ার আর সুযোগ নেই ৬ পয়েন্ট অর্জন করার। তুরস্কের সেই সম্ভাবনা থাকলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে তারা।
Comments