মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্টের আবেদন বেড়েছে

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্টের আবেদন বেড়েছে
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন। ছবি: সংগৃহীত

 

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্টের আবেদনের হার বেড়েছে। দেশটিতে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের নিয়মিত (বৈধতা) করতে শুরু হওয়া আরটিকে-২ কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার আবেদন বেড়েছে।

অনিয়মিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ হতে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট আবেদন করছেন।

গত রোববার মাই মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তবে প্রবাসীরা অভিযোগ করেছেন, তারা পাসপোর্টের আবেদন করলেও সময়মতো পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার জানান, সম্প্রতি একই ব্যক্তির পাসপোর্টে মেয়াদ থাকার পরেও অল্প সময়ের ব্যবধানে ২- ৪টি পর্যন্ত নতুন পাসপোর্টেরও আবেদন করছেন। একই ব্যক্তির একাধিক বৈধ পাসপোর্ট রাখার প্রচেষ্টা আইন সম্মত না হওয়ায় কুয়ালালামপুর হাইকমিশন থেকে আবেদন করা এমআরপি পাসপোর্ট ঢাকা থেকে ছাপানো বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল।

তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া আরটিকে-০২ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন বৈধতা নিতে পারেন সেজন্য ঢাকার পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গে আলোচনা করেছে হাইকমিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় যথা নিয়মে নতুন পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

হাইকমিশনার আরও জানান, প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবা দিতে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তারা আগের মতো দ্রুত পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট শাখা সূত্রে জানা গেছে, আগে প্রতিদিন ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার পাসপোর্ট আবেদন হত। এখন দিনে সাড়ে ৩ থেকে ৪  হাজার আবেদন জমা পড়ছে। গত ৪ মাসে ৭৫ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।

এছাড়া, বাংলাদেশে এমআরপি ইস্যু বন্ধ থাকায় ছুটিতে থাকা অনেক  প্রবাসী তাদের স্বজনদের মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে কুয়ালালামপুর হাইকমিশনে এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন জমা দিয়েছেন। 

লেখক:  মালয়েশিয়াপ্রবাসী  বাংলাদেশি সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago