মালয়েশিয়ায় ২২৬ বাংলাদেশি ও নেপালি শ্রমিক উদ্ধার
মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ, ২২৬ বাংলাদেশি ও নেপালি শ্রমিককে উদ্ধার করেছে। গতকাল সোমবার সেলাঙ্গর রাজ্যের বান্ডারবারু নিলাইয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে একটি টিপ অব পাওয়ার পরে তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া ২২৬ জনের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি আছেন তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে, ধারণা করা হচ্ছে দেড় শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী আছেন। তাদের বয়স ২০-৪০ বছরের মধ্যে।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (লেবার) নাজমুছ সাদাত সেলিম সোমবার রাতে টেলিফোনে জানান, উদ্ধার করা বাংলাদেশি শ্রমিকদের বাসস্থান ও চাকরি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া হবে না। তাদের দেখভাল করছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। হাইকমিশন থেকেও কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার বলেন, 'নিয়োগকর্তারা হাউজিং, আবাসন এবং কর্মচারী সুবিধা আইন-১৯৯০ (অ্যাক্ট ৪৪৬) এর ন্যূনতম মান মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে। ৩টি পরিচ্ছন্নতা প্রতিষ্ঠান এবং একটি উৎপাদনকারী কোম্পানির জন্য অনুমোদিত বিদেশি শ্রমিক কোটার মাধ্যমে শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে। এসব শ্রমিকদের প্রায় ৪০ দিন আগে ট্রানজিট আবাসন প্রাঙ্গনে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনো প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ খুঁজে পায়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'ট্রানজিট হোমে নোংরা পরিবেশে শ্রমিকদের রাখা হয়েছিল যা খুবই হতাশাজনক। ৩টি ফ্লোরে তাদের রাখা হয়েছিল, প্রতিটি ফ্লোরে ১ হাজার ৮০০ বর্গফুটে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ থাকার ব্যবস্থা আছে। এটি আইনের লঙ্ঘন এবং বিপজ্জনক। অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটলে তাদের পরিণতি কী হতো? উদ্ধার করা শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩০ কিলোমিটার দূরে নিরাপদ স্থানে তাদের রাখা হয়েছে। তাদের নতুন নিয়োগকর্তা খোজাঁ হবে, যাদের কর্মীর প্রয়োজন।'
শিবকুমার নিয়োগকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, 'শ্রম বিভাগ এমন কোনো বিষয় আপোস করবে না, যা বাধ্যতামূলক শ্রমের দিকে পরিচালিত করবে এবং দেশের ভাবমূর্তিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।'
'বিদেশি শ্রমিকদের দেশে আনার আগে কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই তাদের চাকরির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। জড়িত ৪ কোম্পানির নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে আইন-৪৪৬ এর ধারা ২৪ডি অনুসারে ৪টি মামলা হয়েছে।'
আহমাদুল কবির: মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
Comments